আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এখন থেকে যুক্তরাজ্যের ২৮৭ জন এমপি রাশিয়া ভ্রমণ করতে পারবেন না। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। খবর রয়টার্সের।
১১ মার্চ যুক্তরাজ্য সরকার রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৩৮৬ জন সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সেই বিধিনিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। বুধবার (২৬ এপ্রিল) এ ঘোষণা দেয়া হয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাশিয়া।
রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের যেসব সদস্য বেশি দৌড়ঝাঁপ করেছেন বা এ বিষয়ে কথা বলেছেন, তাদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা দিল রাশিয়া। এসব এমপি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা রাখেন।
রাশিয়ার ৩৮৬ এমপির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ অভিযানের জবাবে ১১ মার্চ এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, গত মাসে পূর্ব ইউক্রেনের দোনবাস অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে এসব এমপি ভোট দিয়েছিলেন।
ফেব্রুয়ারি মাসে রুশ এমপিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। এসব এমপি যুক্তরাজ্যে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন, ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের অভিযানে যারা সহায়তা করেছেন, যারা যুদ্ধে সমর্থন দিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞায় তাদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।
গেল ৭ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রাশিয়া। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ দুটির বিরুদ্ধে শত্রুতাপূর্ণ আচরণের অভিযোগ এনে এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয় রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৮ এপ্রিল পুতিনের দুই কন্যা মারিয়া ভোরোনৎসোভা ও কাতেরিনা তিখোনোভার ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। এরপর থেকেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ। যুদ্ধের ৬৩ দিন পার হলেও এত নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরও যুদ্ধ থামবে কি না, সে বিষয়ে বলা যাচ্ছে না এখনো।
আপনার মতামত লিখুন :