ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: [২] আফগানিস্তানের আবাশিক এলাকার পাশে একটি গোপন স্কুলে গণিতের ক্লাস করছেন দেশটির মেয়েরা। সেখানকার একজন শিক্ষক বলেন, আমি জানি মেয়ের শিক্ষা দেওয়ার সর্বোচ্চ মূল্য আমার জীবন দেওয়া। তবুও আমি যে কোনো মূল্যে মেয়েদের শিক্ষা দিয়ে যাবো। বিবিসি
[৩] গত বছরের আগস্ট মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালিবান। এর পর প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিলেও অনেক প্রদেশে এখনো বন্ধ আছে মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়গুলো। মার্চ মাসে একবার কিছু সময়ের জন্য খুলে দিলেও আবার বন্ধের ঘোষণা দেয় তালিবান সরকার।
[৪] তালিবান সরকার বারবারই বলছে, নারীদের নিরাপত্ত ব্যবস্থা জোড়ালো ও ছেলে- মেয়েদের আলাদাভাবে ক্লাস করানোর সক্ষমতা হলেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তারা আরো বলছেন, মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার আগে তাদের জন্য ইসলামী পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তালিবানের অনেক নেতাই মনে করেন খুব দ্রুত মেয়েদের স্কুল খুলে দেওয়া প্রয়োজন। অবশ্য তালিবানের কিছু কিছু নেতা নারীদের শিক্ষার বিষয়ে এখনো দ্বিমত প্রকাশ করছেন।
[৫] শেখ রহিমুল্লাহ হাক্কানি একজন আফগান ধর্মগুরু। তিনি পাকিস্তানের পেশোয়ারে সীমান্তে থাকেন। গত মাসে কাবুল সফর করে তালিবানের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বলেন, নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে না এমন কথা ইসলামের কোনো গ্রন্থেই নেই। বরং সকল ধর্মীয় বইয়েই বলা হয়েছে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক।
[৬] তিনি আরো বলেন, একজন নারী যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন তাহলে তাকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এই ক্ষেত্রে যদি এক নারী চিকিৎসক হয় তাহলে অন্য নারীর জন্য অনেক ভালো হয়। আর একজন নারীকে চিকিৎসক হতে হলে তাকে অবশ্যই পড়তে হবে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :