মাজহারুল ইসলাম : চীনের গোবি মরুভূমি থেকে শেনঝাউ-১৫ নভোযানে করে তিন নতুন নভোচারীকে পাঠাল চীন। দেশটির তৈরি নতুন তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে নভোচারীদের পৌঁছে দেবে ওই নভোযানটি। মহাকাশে নিজেদের স্টেশনে থাকার জন্য দেশটির এটাই প্রথম নভোচারী পাঠানোর ঘটনা। সেখানে তারা ছয় মাস থাকবেন।

এর পরে তাঁরা ফিরে এলে আবার নতুন নভোচারীদের আবার সেখানে পাঠানো হবে। এদিকে যে তিন নভোচারী এতদিন স্টেশনটিতে ছিলেন তারা আগামী মাসে পৃথিবীতে ফিরে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিবিসি, সিসিটিভি

আগে থেকেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন চালু রয়েছে। এবার দ্বিতীয় হিসেবে মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং যুক্ত হয়েছে। তিয়ানগং কক্ষপথে থাকা মাত্র দুটি স্টেশনের একটি।

২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশ কার্যক্রম থেকে বাদ দেওয়ার পর নিজস্ব স্টেশন তৈরিতে মনোযোগ দেয় চীন।

মঙ্গলবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গোবি মরুভূমির জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে শেংঝৌ-১৫ নভোযানটি তিন নভোচারীকে নিয়ে যাত্রা শুরু করে। মহাকাশ স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়ার সর্বশেষ অংশ ছিল এটি।

তিয়ানগং স্টেশনটি প্রায় এক দশক মহাকাশে থাকবে। এই সময়টির মধ্যে শূণ্য-মাধ্যাকর্ষণে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে স্টেশনটি থেকে।

চীনের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান চায়না ম্যানড স্পেস স্টেশনের (সিএমএসএ) প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন তিন নভোচারী মহাকাশ স্টেশনটিতে যন্ত্রাংশ প্রতিস্থাপন কাজ করবেন। ধারণা করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যে স্টেশন তৈরির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হবে।

আন্তর্জাতিক মহাকাশচারী ফেডারেশনের নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ক্রিশ্চিয়ান ফেচিংগার বলেছেন, বিশ্ব এখন চীনের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ সামর্থ পর্যবেক্ষণ করছে।

শেংঝৌ-১৫ নভোযানে যে তিন নভোচারী গেছেন তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৫৭ বছর বয়সী ফি জাংলং। তিনি ২০০৫ সালে শেংঝৌ-৬ মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

সেটি ছিল তার প্রথম মহাকাশ মিশন। আগামী এক দশকে চীন প্রতি বছর দুইবার মহাকাশে নভোচারী পাঠাবে।

এএঈচ