আন্তর্জাতিক ডেস্ক: স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ ইউএসজিএস জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত কিংবা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এর কেন্দ্রস্থল ছিলো সুমাত্রার পশ্চিম উপকূলীয় শহর বেঙ্কুলুকু থেকে ১৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।
রাত ৯টা ৭ মিনিটে একই এলাকায় আফটার শক হিসেবে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলেও জানিয়েছে ইউএসজিএস।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর একটি ইন্দোনেশিয়া। গত কয়েকদিনে দেশটিতে ৪ দশমিক ৭ থেকে ৫ মাত্রার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সবশেষ গত ১৬ নভেম্বর আঘাত হানে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প।
এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে মধ্য ইন্দোনেশিয়ার নর্থ সুলাওয়েসি প্রদেশে ৬ দশমিক ১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে গত মাসে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আব্রা প্রদেশ। ওই ভূমিকম্পে অন্তত ২৬ জন আহত হয় এবং একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া গত মাসে উত্তর সুমাত্রা প্রদেশে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত ১ জনের মৃত্যু হয় বলে দেশটির আবহাওয়া ও জিওফিজিক্স সংস্থা বিএমকেজি নিশ্চিত করে। এ ছাড়া আরও অন্তত ৯ জন আহত হয়। এটি উত্তর সুমাত্রার কয়েকটি শহরে অনুভূত হয়, ভয়ে লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে বাইরে বের হয়ে আসে।
পৃথিবীর ভূত্বকের বেশ কয়েকটি পৃথক টেকটোনিক প্লেট মিলিত হয়েছে এমন একটি কম্পন প্রবণ এলাকায় (প্যাসিফিক রিং অব ফায়ার) ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েক হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়ায় প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের পাশ ঘেষে যাওয়া ভূতাত্ত্বিক চ্যুতি অত্যন্ত সক্রিয় ও বিপজ্জনক। ২০০৪ সালে ৯ দশমিক ১ মাত্রার প্রলয়ঙ্করী এক ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ সুনামির মুখে পড়ে ইন্দোনেশিয়া।
এমএএস
আপনার মতামত লিখুন :