ইমরুল শাহেদ: বৃহস্পতিবার ( ১৭ নভেম্বর) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় বাইক আরোহী বন্দুকধারীদের গুলির দুটি পৃথক ঘটনায় একজন নারী, দুই শিশু সহ ৯ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলায় সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বুধবারের (১৬ নভেম্বর) এই বন্দুক হামলার জন্য দায়িদের জন্য সন্ধান চালানো হচ্ছে। খুজেস্তান প্রদেশের সিনিয়র জুডিশিয়াল এক কর্মকর্তা বলেছেন, ঘটনা দুটি ঘটেছে আইজেহ অঞ্চলে। এনডিটিভি
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম ঘটনাটি ঘটে ইরানের খুজেস্তান প্রদেশে। একটি বাজারের সামনে গুলির ঘটনায় অন্তত সাত জন নিহত এবং ১০ জন আহত হন। এই হামলার চার ঘণ্টা পর ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইস্ফাহানে আরও একটি বন্দুক হামলা হয়। একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুই হামলাকারী বাসিজ আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি চালায়।
সেপ্টেম্বর মাস থেকে উত্তাল ইরান। দেশটির প্রধান শহরগুলোতে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলছে। কুর্দি তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হওয়া সেই বিক্ষোভ থামার কোনো লক্ষণ নেই। এই অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে ইরানে। গত মাসে একটি দরগাহে গুলির ঘটনায় ১৩ জন নিহত হন। এরপর আবার এই গুলির ঘটনা ঘটলো।
এর আগে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছিল, একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী খুজেস্তানের কেন্দ্রীয় বাজারের সামনে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশের সুযোগ নিয়ে লোকজন এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের উপর গুলি চালিয়েছে। দুটি মোটরসাইকেলে চড়ে আততায়ীরা বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ইজেহ শহরের একটি কেন্দ্রীয় বাজারে গুলি চালায়। ওই ঘটনায় তখন পাঁচজন নিহত এবং ১০ জন আহত হওয়ার খবর দিয়েছিল ইরনা। তবে পরে নিহতের সংখ্যা সাতে গিয়ে দাঁড়ায়।
এ হামলা কোনো জঙ্গি সংগঠন চালিয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ইরানের সরকার এ হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
আইএস/এএ
আপনার মতামত লিখুন :