আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া সেদেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কথা স্বীকার করে নেবার মাত্র দু'দিন পরই দেশটির নেতা কিম জং উন একে ‘দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
শনিবার (১৪ মে) এক জরুরি বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় তিনি করোনাভাইরাস রুখতে সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক দেন।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাত্র দু'দিন নয় বেশ কিছুকাল ধরেই ভাইরাসটি উত্তর কোরিয়ায় ছড়াচ্ছিল। এ সংক্রমণ ব্যাপক আকার নিলে দেশটিতে গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেও তারা আশংকা প্রকাশ করেন।
বিশ্বব্যাপী গত দু'বছর ধরে যখন সবাই করোনায় নাকাল, উত্তর কোরিয়া তখনও নিজেদের ভাইরাসমুক্ত বলে দাবি করে আসছিল। কিন্তু এ স্বীকারোক্তি তাতে বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিলো।
২০২০ সালেও উত্তর কোরিয়া দাবি করেছিল, তারা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করেছে।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের শিকার হয়ে ইতোমধ্যেই ২১ ব্যক্তি মারা গেছে এবং আরও এক লক্ষ ৭০ হাজার মানুষকে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। পিয়ং ইয়ংএর এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে যে অমিক্রন জাতীয় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিল বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ মে) রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ায় পাঁচ লক্ষেরও বেশি মানুষ গত কয়েক সপ্তাহে ‘অজানা কারণে’ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। মহামারি ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ায় কোন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেই এবং করোনা পরীক্ষার ক্ষমতাও সীমিত। দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাও অত্যন্ত নাজুক। অর্থাৎ, করোনাভাইরাসের বিস্তারে সে দেশে একটা বিপর্যয় ঘটতে যাচ্ছে।
এদিকে, গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট পিয়ংইয়ং সরকারকে ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য মেডিকেল সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
কিন্তু উত্তর কোরিয়া এটা গ্রহণ করবে কিনা, সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে কারণ এর আগে দেশটিতে এ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং চীনের সিনোভ্যাক টিকা পাঠানোর প্রস্তাব দেয়া হলেও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :