ইমরুল শাহেদ: প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ব্যাপক প্রতিরোধ ও পাল্টা আক্রমণের মুখে মিয়ানমারের সেনা বাহিনী অনেকটাই নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে। একের পর এক সেনা চৌকি, টাউনশিপ এবং শহর হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে জান্তা বাহিনীর। স্থল যুদ্ধে টিকতে না পেরে শেলিং ও যুদ্ধবিমান দিয়ে বোমা নিক্ষেপ করে পরাস্ত করতে চাইছে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের।
তাতে হতাহত হচ্ছে বেসামরিক লোকজন। ইতোমধ্যে রাজধানীর একটি কারাগারে বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। হোয়াইট টাইগার ব্যাটেলিয়নের উদ্ধৃতি দিয়ে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারেন রাজ্যের কাওকারেইখে যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় জান্তা বাহিনী। তাতে দুই বাসিন্দা নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়। এর মধ্যে ছয়জন হলো শিশু।
এই অঞ্চলটিতে শুক্রবার সকালে জান্তা বাহিনী ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। তাতে জান্তাদের হতাহতের সংখ্যা বেড়ে গেলে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তারপরই শুরু করে ক্ষেপনাস্ত্র ও বিমান হামলা। তারা এই হামলা চালিয়েছে হমাওবি বিমানবন্দর থেকে। জান্তাদের বিমান হামলায় পিয়ার পিন, কং হমু, টাডা ইউ, খা নাইন মুনান্দ গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে।
এখানে যুদ্ধ করছে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি এবং হোয়াইট টাইগার ব্যাটেলিয়ন সমন্বিতভাবে। তারা বলেছে, জান্তা বাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান কয়েক ঘন্টা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু ‘জান্তাদের এই হামলা তাদের কাছে ছিল প্রত্যাশিত’ এবং তারা বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি ছিল।’
প্রতিরোধ যোদ্ধাদের দলটি কাওকারেইখে অর্থাৎ কারেন শহরের নাভিমূলে জান্তা পদাতিক বাহিনীকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সেখানকার কারাগারটি খুলে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে জান্তারা নাস্তানাবুদ হয়ে গেলে শুরু হয় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টারের হামলা।
আইএস/এএ
আপনার মতামত লিখুন :