ইমরুল শাহেদ: তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের কৃষ্ণসাগর প্রদেশের বার্তিন এলাকার একটি কয়লা খনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ২৮ জন এবং অর্ধ শতাধিক শ্রমিক খনিতে আটকা পড়েছেন। শুক্রবার সূর্যাস্তের সময় এ ঘটনাটি ঘটেছে। আনাদুলু
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফারহেটিন কোকা টুইটারে লিখেছেন, ‘নিহত হয়েছেন ২৮ জন। কিন্তু আহত ১১ জনের জন্য দেশটির যা যা করণীয় তাই করা হচ্ছে। ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ইস্তানবুলে এবং পাঁচকে বার্তিনে।’
জ্বালানি ও প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রী ফাতিহ ডিনমেজ বলেছেন, ‘খনি বিস্ফোরণে গ্যালারিতে আগুন ধরে গেছে। এখন আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগুন যেখানে জ্বলছে সেখানে আরো ১০ থেকে ১১ জন আটক রয়েছে। আরেক স্থানে আটক রয়েছে ৪ থেকে ৫ জন।’
যোগাযোগ সচিবালয়ের ফারেত্তিন আলতুন নামের একজন বলেছেন, এ পর্যন্ত ৫৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫০ জন উদ্ধারকর্মী কাজ করে চলেছেন। ডনমেজ বলেছেন, ফায়ারড্যাম্পের কারণেই এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু সন্ধ্যার পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণের সময় খনিটিতে আমাদের ১১০ বা তার চেয়ে কিছু বেশি সংখ্যক শ্রমিক কাজ করছিলেন। তাদের মধ্যে ২৮ জন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন এবং আটকা পড়েছেন প্রায় ৫০ জন।’
তিনি জানান, খনির ভেতরে দু’টি স্থানে আটকা পড়েছেন এই শ্রমিকরা। একটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯৮৫ ফুট এবং অপরটি ১ হাজার ১৫০ ফুট গভীরে।
তুরস্কের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ইতোমধ্যে ওই খনি এলাকার ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। সেসব ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দুর্যোগব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্ধার বাহিনীর কর্মী, জরুরি স্বাস্থ্য সেবার কর্মী এবং নিহত ও আটকে পড়া শ্রমিকদের আত্মীয়-স্বজন ভীড় করেছেন ওই এলাকায়। অনেককেই কাঁদতে দেখা গেছে।
দুর্ঘটনার সংবাদ শোনার পর শনিবার যাবতীয় কর্মসূচী স্থগিত রেখে আস্তানা থেকে তুরস্কে পৌঁছেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তুরস্কে পৌঁছে এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘প্রার্থনা করছি - নিহতের সংখ্যা যেন আর না বাড়ে এবং আমরা যেন আটকে পড়া সব শ্রমিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারি।’
শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত মোট ৭০ শ্রমিককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আইএস/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :