শিরোনাম
◈ শাহবাগে বিক্ষোভ: আগামী ৭২ ঘণ্টায় পার্বত্য তিন জেলায় অবরোধের ঘোষণা  ◈ পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষ : রাঙ্গামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি ◈ বাইতুল মোকাররমে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, সতর্ক অবস্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ (ভিডিও) ◈ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে কঠোর ব্যবস্থা : পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ◈ দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর আজ স্বাভাবিক দীঘিনালার পরিস্থিতি ◈ জাতিসংঘ অধিবেশনে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে মুহাম্মদ ইউনূসের ◈ অস্বস্তিকর গরম: অবসান হবে কবে? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট, ভারত থামলো ৩৭৬ রানে ◈ অস্ট্রেলিয়ার তা-বে উড়ে গেলো ইংল্যান্ড  ◈ নারী দলের লঙ্কান কোচকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত : ১০ অক্টোবর, ২০২২, ১২:৫৮ দুপুর
আপডেট : ১০ অক্টোবর, ২০২২, ০৭:৪১ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফের অশান্ত রাখাইন, টার্গেট হচ্ছেন বেসামরিক নাগরিকরা

আরাকান আর্মি

ইমরুল শাহেদ: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাধারণ মানুষ রোহিঙ্গাদের ঘটনার পর আবারও জান্তা বাহিনীর লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। রাখাইন রাজ্যে গত কয়েকদিন থেকেই অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করতে শুরু করেছে। নিজ নাগরিকদের হত্যার এমন ঘটনা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কদাচিৎই দেখা যায়। রাখাইনের সাধারণ নাগরিকরা গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে বলেছেন, গভীর রাতে বন্দুকের গর্জন তাদের ঘুম বিনষ্টের পাশাপাশি নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা অনিশ্চিত করে দিচ্ছে। 

পশ্চিম মিয়ানমারের রাজ্য রাখাইনের বাসিন্দা বু ওয়াইন বলেছেন, তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থানে যেতে চান। কিন্তু মিয়ানমারের কোথায় যাবেন? মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থান কোথায় আছে? তিনি বলেন, গভীর রাতে এসব কথা ভাবার সময় তাদের বাঁশের ঘরের কোণায় এসে পড়ে একটি শেল। তার চোখমুখ অন্ধকার হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘যখন চোখ মুছে কোনো রকমে তাকালাম তখন দেখি আমার ছোট ছেলেটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।’ ভয়াবহ শেলিংয়ের কারণে পরিবারটি তাদের সন্তানকে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে পারেননি। শেলিংয়ের পাঁচ দিন পর সেনাবাহিনী তাদের গ্রামটি ঘেরাও করে। কিন্তু ইতোমধ্যে গ্রামের বাসিন্দারা সব কায়াকতু শহরে চলে যান। 

রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও জান্তা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার দুই মাসের মধ্যে চৌদ্দ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। এই অঞ্চলটি ছিল রোহিঙ্গা অধ্যুষিত। তাদেরকে হত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে জান্তারা। এজন্য মিয়ানমার এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে গণহত্যার মামলা মোকাবিলা করছে। 

মিয়ানমারে জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলেছেন, রাখাইনের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কারণ সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে ১৭ হাজার ৪০০ বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে সেখানে মানবিক সহায়তা দেওয়ারও কোনো সুযোগ নেই।

আইএস/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়