ইমরুল শাহেদ: দেশটির সাগাইং, মান্দালয় এবং তানিনথারাই অঞ্চলে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) অব্যাহত হামলায় তিন দিনে জান্তা বাহিনীর ৬০ সেনারও অধিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে রাখাইন ও মন রাজ্যও রয়েছে। ইরাবতি
রোববার সকালে সাগাইং অঞ্চলের সালিনগাই টাউনশিপের কিয়ার তাত পুলিশ স্টেশনের দখল নিয়ে পিডিএফ ও জান্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। স্থল যুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে না পেরে জান্তা বাহিনী পিডিএফকে পিছু হটাতে হেলিকপ্টার থেকে হামলা চালায়। এর পর পিডিএফ বাহিনী সেখান থেকে সরে যায়। এই সংঘর্ষে পাঁচ জান্তা সেনা ও দুই পিডিএফ যোদ্ধা নিহত হয়।
জান্তাপন্থী টেলিগ্রাম চ্যানেল ফিফটি টু নিউজ রোববারই জানিয়েছে, ২০০ পিডিএফ যোদ্ধার হাত থেকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ স্টেশনটি রক্ষা করা গেছে।
সোমবার স্করপিয়ন-পিডিএফ গ্রুপ জানিয়েছে, সাগাইং অঞ্চলের মনিয়া টাউনশিপের নাইয়ং পাইউ পিন ভিলেজের একটি পুলিশ স্টেশন দখল নিয়ে সংঘর্ষে ১০ জান্তা সেনা নিহত হয়। তবে প্রতিরোধ যোদ্ধারা পুলিশ স্টেশনটি দখল নিতে পারেনি।
এভাবে বিভিন্ন এলাকায় পিডিএফ বাহিনী জান্তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। ইরাবতির অপর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সময় অতিবাহিত করছে। তারা সম্মুখ যুদ্ধে সক্ষমতা ক্রমশই হারিয়ে ফেলছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জান্তা বাহিনী আকাশ ও আর্টিলারি সহায়তা ছাড়া যুদ্ধে বেশিক্ষণ টিকতে পারছে না। ক্যাডেট এবং সাধারণের মধ্য থেকে সেনা নিয়োগের অন্তপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে। সেনাবাহিনীকে এখন সামরিক সদস্য না বলে ডাকাত বলে অভিহিত করা হচ্ছে। কারণ তারা বাড়িঘর লুট করছে এবং পুড়িয়ে দিচ্ছে। এভাবে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার দিকে চলে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :