শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৪:৩৫ দুপুর
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০১:১৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

থাইল্যান্ড থেকে কানাডা গেলেন মিয়ানমারের সেই বিউটি কুইন

রাশিদুল ইসলাম: ২৩ বছর বয়সী হান লে গত বছর ‘মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমার’ প্রতিযোগিতার ফাইনালে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নৃশংসতার অভিযোগ তুলেছিলেন। তার হাতে ব্যানারে শোভা পেয়েছিল ‘মিয়ানমারের জন্য প্রার্থনা করুন’। থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানের পর তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর তিনি আর তার দেশে ফেরেননি। সিএনএন 

থাইল্যান্ডের অভিবাসন কার্যালয় সিনএনএনকে তার কানাডায় যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন। থাইল্যান্ডেও তিনি শরণার্থী হিসেবে ছিলেন। গত বুধবার ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ডে আসার পর হান লেকে নির্বাসনের হুমকি দেওয়া হয়। তাকে ব্যাংককের সুবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা কিছুক্ষণের জন্য বসিয়ে রাখেন। তাকে বলা হয় কর্মকর্তারা তার পাসপোর্টে ত্রুটি খুঁজে পেয়েছেন।

থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর ডেপুটি চিফ আর্চায়ন ক্রাইথং বুধবার সিএনএনকে জানিয়েছেন, হান লে গত মঙ্গলবার রাতে ব্যাংকক ছেড়েছেন। তার শেষ গন্তব্য কানাডা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। এর আগে হান লে সিএনএনকে বলেছিলেন, তিনি কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকতে চান।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার উপপরিচালক রবার্টসন বলেন, গত সপ্তাহে ভিয়েতনাম থেকে থাইল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার সময় হান লেকে রাষ্ট্রহীন করার চেষ্টা করেছিল জান্তা সরকার। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে তাকে মিয়ানমারে ফিরে যেতে বাধ্য করতে ফাঁদ পাতা হয়েছিল। মিয়ানমারে যাওয়ামাত্র তাকে গ্রেপ্তার করা হতো।

সামরিক অভ্যুত্থানের সময় হান লে মিয়ানমারেই ছিলেন। তিনি দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গুনের সড়কে নেমে সেনাশাসনবিরোধী বিক্ষোভ-প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। পরে তিনি থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ২০২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়