শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৪৯ দুপুর
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৪৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতিসংঘে প্রতিনিধিত্ব করার দাবি তুলেছে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার

জাতিসংঘ

ইমরুল শাহেদ: জাতিসংঘে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব কে করবে - জান্তা সরকার, নাকি জাতীয় ঐক্য সরকার তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটা বিতর্ক রয়েছে। তবে এর সমাধান রয়েছে নয় সদস্যের ‘ক্রেডেন্সিয়াল কমিটি’র হাতে। এই কমিটিতে রয়েছে চীন এবং রাশিয়া। জান্তা সরকারের সঙ্গে তাদের অস্ত্র ব্যবসা রয়েছে। এই আলোকে অনেকেরই অনুমান করছেন যে, তারা জান্তা সরকারকেই বৈধ বলে বিবেচনা করতে পারে। পাসব্লু 

মিয়ানমার অ্যাকাউন্টিবিলিটি প্রোজেক্টের এক বিবৃতিতে শুক্রবার বলা হয়েছে, ‘এই নিয়ে জাতিসংঘের ভেতরেই মতদ্বৈততা রয়েছে। কেউ কেউ সামরিক জান্তাকে মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব অনুমোদন দিতে চাইলেও বেশির ভাগই মিয়ানমারের জন্য কোনো আসন না রাখার পক্ষে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘে মিয়ানমারের জনগণকে নিয়ে কথা বলার কেউ নেই। তীব্র দমন-পীড়ন এবং সশস্ত্র যুদ্ধে মানবিক সংকট গভীর থেকে গভীরতর হওয়ার বিষয়টি এখানে তুলে ধরার কেউ নেই।

মিয়ানমারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির পার্লামেন্ট সদস্যসহ অন্যান্য দলের সদস্যরা গঠন করেছে জাতীয় ঐক্য সরকার। জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদে এই সরকারকে স্বীকৃতি প্রদানের আহবান জানানো হয়েছে। আল-জাজিরা

অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রতিনিধি ড. তুন-অং শোয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জাতিসংঘকে প্রতিটি সমাবেশে এবং অধিবেশনে এবং অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রতিনিধিদলকে গ্রহণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জাতীয় ঐক্য সরকারকেই সমর্থন দিতে হবে। কারণ তারাই মিয়ানমারের জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধি। জাতীয় ঐক্য সরকারই মিয়ানমারের জনগণের প্রতিনিধি। জাতিসংঘে মিয়ানমারের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা নেই।’

জাতীয় ঐক্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় রয়েছে। তারা দেশ-বিদেশের মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করছে। কিন্তু জাতিসংঘে এই সরকারের স্বীকৃতি নেই বলে তারা বরাবরই বাইরে থেকে যাচ্ছেন। 

২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিল যে জাতিসংঘ মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিয়েছে। মানবাধিকার বলেছে, এটা একটা ব্যর্থতা। দেশটির অবনতিশীল পরিস্থিতির আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং এতে সামরিক শাসনকে বৈধতা দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়