শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০২:৫৬ রাত
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নতুন মাইলফলকে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কৃত্রিম সূর্য’

দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কৃত্রিম সূর্য’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কৃত্রিম সূর্য’ নতুন মাইলফলক ছুঁয়েছে। দেশটির বিজ্ঞানীরা বলেছেন, তারা কৃত্রিম সূর্য চুল্লির তাপমাত্রা ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসে তুলতে সক্ষম হয়েছেন যা আসল সূর্যের সাত গুণ এবং এটা প্রথমবারের জন্য প্রায় ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। এটাকে বিশ্ব রেকর্ড বলছে দেশটি। সূর্যের কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। সময় অনলাইন

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার তথ্য মতে, সূর্যের একেক জায়গায় তাপমাত্রা একেক রকম। এর কেন্দ্রের তাপমাত্রা প্রায় দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এর পৃষ্ঠের তাপমাত্রা মাত্র ৫ হাজার ৬০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৃথিবী থেকে সূর্যের এই পৃষ্ঠটিই দেখা যায়। অবশ্য এই নক্ষত্রের পরিমণ্ডলের সবচেয়ে বাইরের প্রান্তে আবার তাপমাত্রা বেড়ে কোটি ছাড়িয়ে যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিদ্যুতের বেশিরভাগই আসে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে। যেসব পরমাণু চুল্লি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, সেগুলোর একটি কোরিয়া সুপার কন্ডাক্টিং টোকামাক অ্যাডভান্সড রিসার্চ (কেএসটিএআর বা কেস্টার)।

মূলত সূর্যের চেয়ে বেশি তাপ উৎপাদন হয় বলে একে দেশটির ‘কৃত্রিম সূর্য’ বলা হচ্ছে। এই চুল্লিতে উত্তাপে আয়ন ও পরমাণুর ইলেকট্রন বিচ্ছিন্ন হয়। আর এর মাধ্যমে যে শক্তি পাওয়া যায়, তা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

কেস্টার চুল্লিটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০০৭ সালে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে তাপ উৎপাদনে এটি প্রায় প্রতিবছরই রেকর্ড গড়ছে। ২০১৮ সালে এর তাপমাত্রা ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে এবং সেই তাপমাত্রা ৮ সেকেন্ড ধরে রাখতে পেরেছিল। গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এটি ১৫ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পেরেছিল।

গত বছরের (২০২১) শুরুর দিকে এই চুল্লি নতুন রেকর্ড গড়ে। এটি ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শুধু পৌঁছায়ইনি, এই তাপমাত্রা ২০ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে রাখতে পেরেছিল। আর এবার সেই মাইলফলক ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কৃত্রিম সূর্য।

চলতি বছরের শেষ নাগাদ ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ৫০ সেকেন্ড ধরে রাখতে চান দেশটির বিজ্ঞানীরা। ২০২৬ সাল নাগাদ তাদের লক্ষ্য, কৃত্রিম সূর্যের তাপমাত্রা ৩০০ সেকেন্ড বা ৫ মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখা। ধীরে ধীরে তা বাড়ানো, যাতে পরিবেশবান্ধব শক্তি পাওয়া যেতে পারে। এতে করে জ্বালানির সংকটও দূর করা সম্ভব হবে বলে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় জানিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়