ইমরুল শাহেদ: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অগ্নিগর্ভ মিয়ানমারে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে কায়া স্টেট, চিন স্টেট, সাগায়িং অঞ্চল ও রাখাইন রাজ্যে নিহত হয়েছে প্রায় এক হাজার ৬২৩ জন। এখানে কাচিন, শান, মন, কারেন এবং কারেন্নি রাজ্যের কথা উল্লেখ করা হলো না।
সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশ সীমান্তের অদূরে অবস্থিত মংডু টাউনশিপের একটি থানায়। রাখাইন রাজ্যের আরাকান আর্মিরা একটি পুলিশ পোস্ট দখল করে নেয়। এ সময় সংঘর্ষে ১৯ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এই পুলিশ পোস্টটি পুনরুদ্ধারের জন্য তিনটি যুদ্ধ বিমান ও একটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে গোলাবর্ষণ করতে শুরু করে জান্তা বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দারা বার্তা সংস্থা ইরাবতিকে জানিয়েছে, গত ২ আগস্ট থেকেই মংডু টাউনশিপ উত্তপ্ত রয়েছে। চলছে সংঘর্ষ। বলতে গেলে গোটা মিয়ানমার জুড়েই সামরিক শাসকদের প্রশাসনিক অবকাঠামো প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে।
ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ছয়টি সেনা স্থাপনা থেকে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় নিয়মিতভাবে যুদ্ধ বিমান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে গুলি চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০টি শেল বর্ষণ করা হয়ে থাকে।
আরাকান আর্মি দাবি করেছে, বুধবার পালেটওয়া এলাকার একটি গ্রামের কাছে সংঘর্ষে জান্তা বাহিনীর ১০ সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণপূর্ব মিয়ানমারের কায়া রাজ্যে পনের মাসে নিহত হয়েছে ১,৫০০ জান্তা সেনা। এসময় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিহত হয়েছে ১৫০ জন। চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বলেছে, গত জুলাই থেকে সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৬০ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছে। বেশির ভাগ জান্তা সেনা নিহত হয়েছে চোরাগোপ্তা হামলায়। বুধবার সাগায়িং রাজ্যে নিহত হয়েছে ৩৪ জন জান্তা সেনা। এর মধ্যে রয়েছে একজন লে. কর্নেল এবং দু’জন ক্যাপ্টেন।
আপনার মতামত লিখুন :