শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:০৬ দুপুর
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১১:৪৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূতকে জেলে পাঠিয়েছে মিয়ানমার

যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্টদূত ভিকি বোম্যান ও তার স্ত্রী স্বামী হিতেন লিন

মাকসুদ রহমান: মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্টদূত ভিকি বোম্যান এবং তার স্বামী হিতেন লিনকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক আদালত। অভিবাসন আইন ভঙ্গ করায় তাদের বিরুদ্ধে এই বায় দেওয়া হয়। লিন একজন সাবেক রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত এই দম্পতির বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিবিসি

বিবিসি জানিয়েছে, এই মামলায় সঙ্গে অভিবাসন আইনের চেয়ে রাজনৈতিক উদ্বেগটাই বেশি গভীর হয়ে থাকতে পারে। এমনিতেও মিয়ানমারে বিদেশিদের বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা তুলনামুলকভাবে কম। 

মিয়ানমারে রাষ্টদূত হয়ে কাজ করা ছাড়াও সাবলিলভাবে বার্মিজ ভাষা বলতে পারা বোম্যান পরিচিতি লাভ করেন মায়ানমারের একটি ক্ষুদ্র আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য হিসেবে।

১৯৯০ সালে বোম্যান জুনিয়র কুটনীতিক হিসেবে মিয়ানমারে অবস্থিত বৃটিশ দূতাবাসে নিযুক্ত হন এবং ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশটিতে তিনি বৃটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত মায়ানমার সেন্টার ফর 

রেসপন্সিবল বিজনেস (এমসিআরবি) নামক একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। তার ওপর দেওয়া সামরিক আদালতের এই বিচারে হতবাক হয়েছে বলে জানিয়েছে তার প্রতিষ্ঠান এমসিআরবি।

একটি বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বোম্যান তার জীবনের অনেকগুলো বছর কাজ করেছেন কেবল মিয়ানমারের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার জন্য। আমরা আশা করছি, সে খুব দ্রুতই মুক্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে নিজের পরিবারের কাছে ফিরে যাবে।

হিতেন লিন মায়ানমারের একজন প্রসিদ্ধ চিত্র শিল্পী এছাড়াও তার অপর পরিচয় সাবেক রাজনৈতিক নেতা। রাজনৈতিক জীবনে যুক্ত ছিলেন অল বার্মা স্টুডেন্টস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের সঙ্গে। ১৯৮৮ সালে দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ছাত্রদের দ্বারা গঠিত এই দলটি ছিল সামরিক শাসন বিরোধী একটি সশস্ত্র বিরোধী দল। এই দম্পতি বিয়ে করার পর লন্ডনে তাদের নতুন জীবন শুরু করে এবং ২০১৩ সালে ইয়াঙ্গুনে ফিরে আসেন। সম্পাদনা: মাজহারুল ইসলাম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়