ইমরুল শাহেদ: জুলাই মাসে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকেই দেশটির উপর আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চীন। পেলোসি সফর শেষ করে চলে যাওয়ার একদিন পরই তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে চীন। তার অনেকদিন পর এই প্রথমবার চীনা ড্রোনকে লক্ষ্য করে গুলি চালালো তাইওয়ান। দেশটি এই গুলিকে ‘সতর্কীকরণ’ গুলি বলেছে। গার্ডিয়ান
প্রেসিডেন্ট সাইং-ওয়েন আগেই চীনকে পালটা জবাব দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছিল। তারই নির্দেশে চীনা ড্রোনকে গুলি করে নামানোর চেষ্টা করে তাইওয়ান। প্রেসিডেন্ট নিজেই তাইওয়ান সেনাবাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে তিনি চীনা উস্কানি বলেও উল্লেখ করেছেন।
দেশটির এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাইওয়ান সেনার এক মুখপাত্র জানিয়েছে, গুলি চালানোর পরই চীনা ড্রোনগুলো বেইজিংয়ের দিকে পালিয়ে গিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে কিনমেন ডিফেন্সন কমান্ডের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, মোট তিনটি ‘বেসামরিক ড্রোন’ তাইওয়ানের কুইমোয় দ্বীপপুঞ্জের উপরে আকাশে তিনটি ভিন্ন অবস্থানের উপর দিয়ে উড়েছিল। স্থানগুলো হলো দাদন, এরদান এবং শিউন। বারবার সতর্কীকরণের পরও ফুজিয়ান প্রদেশের মূল ভূখণ্ডের শহর জিয়ামেন থেকে মাত্র ৪ কিমি দূরে একটি উপকূলীয় দ্বীপ এরদানের উপর দিয়ে একটি ড্রোন আবার উড়ে যায়। তাইওয়ান সেনাবাহিনী তখন ফিরে আসা ড্রোনটিকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য গুলি চালায়, যা আকাশসীমা ছেড়ে জিয়ামেনের দিকে উড়ে যাচ্ছিলো।
প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বলেছেন, আকাশসীমার সুরক্ষার জন্য ‘প্রয়োজনীয় এবং শক্তিশালী পাল্টা ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবে তাইওয়ান। এর আগেও চীনকে ‘জবাব’ দিতে দেখা গিয়েছে তাইওয়ানকে। চীনের যুদ্ধবিমানের টহলদারির জবাবে পালটা তারাও যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। কিন্তু এমন কড়া জবাব এই প্রথম।
চীন এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি। তবে চীনা ড্রোনের তাইওয়ানের ভূখণ্ডে চক্কর কাটার যে দাবি তা সোমবারই উড়িয়ে দিয়েছিল বেইজিং।
আপনার মতামত লিখুন :