ইমরুল শাহেদ: ১৯৯৯ সালে জাপান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিফিউজিজ (জেএআর) বিশ্বের ৭০টি দেশের ৭শ’য়েরও বেশি আশ্রয় প্রার্থীকে সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু এই সময়ে জাপান সরকার প্রতি বছর ৩০ জন শরণার্থী আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন অনুমোদন দিয়েছে। এ সময়ে তাদের নীতির পরিবর্তন হয়েছে কদাচিৎ। খোদ জাপানিদেরই এ সময়ে বিশ্বজুড়ে সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তার দরকার ছিল। আল-জাজিরা
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে শরণার্থী নীতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। যুদ্ধ শুরুর কয়েকদিন পরই প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, জাপানে বসবাস করা ১৯০০ ইউক্রেনীয় বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনকে আশ্রয় দিতে সম¥ত আছে দেশটি। বিচার মন্ত্রী ইউশিহিসা ফুরুকাওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের এক মাস পর বলেছেন, শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।
তাদের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, শরণার্থীদের বিষয়ে জাপান কৌশল পরিবর্তন করছে। যেহেতু দেশটি ভিয়েতনাম যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন অনুমোদন করেছে, তাই জাপান শরণার্থীদের ব্যাপারে একটা নিরবচ্ছিন্ন পন্থা গ্রহণ করেছে। উন্নত দেশগুলোর দেওয়া সুরক্ষার একটি অংশের দায় বহন করছে জাপান।
উন্নত বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র শরণার্থী আশ্রয় দেওয়া কমিয়ে দিয়েছে। এ বছর দেশটি মাত্র ১৫ হাজার আবেদন গ্রহণ করেছে। যুক্তরাজ্য আশ্রয় দিয়েছে ১০ শরণার্থীকে। জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইতালিও একই হারে শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে।
জেএআর’র বোর্ডের চেয়ারম্যান ইরি ইশিকাওয়া বলেন, জাপানে আবেদনের প্রক্রিয়াটি খুবই ধীর। মিয়ানমারের একজন বেনামী আশ্রয়প্রার্থী, ‘মিস্টার এ’-র মতো অনেক আবেদন আছে, যা ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে। ধরা যাক, মিয়ানমারের উক্ত আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করেছে ১০ বছর আগে। তিনি এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। তার কোনো বৈধ অবস্থান নেই। ইমিগ্রেশন যে কোনো সময় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। ইশিকাওয়া বলেন, ‘তার কোনো সামাজিক নিরাপত্তা নেই। এর মধ্যে রয়েছে হেলথ ইনস্যুরেন্স বা তিনি কাজও করতে পারছেন না।’
২০২১ সালে জাপানের ইমিগ্রেশন অ্যাজেন্সিতে দুই হাজার ৪১৩ জন শরণার্থীর আবেদনের মধ্যে ৭৪টি অনুমোদন পেয়েছে মাত্র। গত বছর সেনা অভ্যুত্থানের পর জাপানে মিয়ানমারের আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। সাধারণত যে ক’জন আশ্রয়প্রার্থী আবেদন করে থাকে, এ বছর সেই সংখ্যা দ্বিগুণ।
আপনার মতামত লিখুন :