ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ: গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের পর প্রথমবারের মতো তাইওয়ান প্রণালীর আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে দুইটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। বিবিসি, আলজাজিরা, সিএনএন
চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের উত্তেজনার মধ্যেই রোববার (২৮ আগস্ট) তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের এ দুইটি যুদ্ধজাহাজ। এদিন চীনের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা জাহাজ দুটির অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে। সেই সঙ্গে সতর্কতা বজায় রেখেছে। যেকোনো উস্কানিকে পরাস্ত করতে প্রস্তুত চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহর এক বিবৃতিতে জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ইউএসএস অ্যান্টিটাম ও ইউএসএস চ্যান্সেলরসভিল রুটিন অনুযায়ী তাইওয়ান প্রণালির আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করেছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে জাহাজের ট্রানজিট মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করেছে মাত্র। আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তা পরিচালনা করা হয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ২৩টি চীনা বিমান ও আটটি চীনা জাহাজ তাইওয়ানের আশেপাশে টহল দিচ্ছে।
চীন বারবার বলে আসছে- তারা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানকে যুক্ত করতে চায়, এজন্য প্রয়োজন হলে তারা শক্তিও প্রয়োগ করবে।
১৯৪৯ সালে চীন গণপ্রজাতন্ত্রী প্রতিষ্ঠাকারী কমিউনিস্টদের সাথে গৃহযুদ্ধে হেরে বিদ্রোহীরা তাইওয়ানে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তাইওয়ান প্রণালীটি সামরিক উত্তেজনার একটি ঘন ঘন উৎস হয়ে উঠেছে। তাইওয়ান সরকার জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন কখনোই দ্বীপটি শাসন করেনি। তাই এটি দাবি করার কোন অধিকার নেই। শুধুমাত্র তাইওয়ানের দুই কোটি মানুষ নিজেরাই তাদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতি মেনে চললেও তাইওয়ানকে স্বাধীন ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে। সম্পাদনা : রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :