ইমরুল শাহেদ: দেশটিতে বিরামহীন বৃষ্টিজনিত কারণে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ৯৩৭ জন নিহত এবং তিন কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বন্যার পানিতে পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চল অনেক এলাকাই ডুবে গেছে। এর মধ্যে সিন্ধু প্রদেশেরই ২৩টি জেলাই পানির নিচে চলে গেছে। ইয়ন, ডন
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ মানুষের এই দুর্দশাকে ‘আবহাওয়া জনিত মানবিক সংকট’ বলে উল্লেখ করেছেন। গত ১৪ জুন থেকে বন্যার কারণে শুধু সিন্ধু প্রদেশেই এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৩০৬ জন। এই তথ্য জানিয়েছে, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তানে যেখানে ৪৮ মিমি বৃষ্টি হয়, সেখানে এই আগস্ট মাসেই ১৬৬.৮ মিমি, ২৪১ শতাংশ বেশি। এছাড়া বেলুচিস্তানে ২৩৪, খাইবার পাখতুনখোয়া ও পাঞ্জাবে যথাক্রমে ১৮৫ ও ১৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭ জন ও গিলগিট বালতিস্তানে নিহত হয়েছেন ৯ জন।
এই ‘দানবীয়’ বৃষ্টির কারণে দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রীও পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রহমান। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধ মোকাবেলা পরিস্থিতির মতো করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’
জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সামগ্রীর জন্য সরকারের প্রয়োজন ৭২.৩৬ বিলিয়ন রুপি। খাদ্য ও নগদ অর্থ প্রদানের জন্য প্রয়োজন ৭.৩৩ বিলিয়ন রুপি। খাদ্য বহির্ভূত অন্য সামগ্রীর জন্য ৮.৭১৩ বিলিয়ন এবং স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজন ১.৬২৭ বিলিয়ন রুপি। এটা হলো সরকারের প্রাথমি হিসাব।
২০১০ সালের ভয়াবহ বন্যার সঙ্গে তুলনা করে এ সপ্তাহের শুরুর দিকে রহমান বলেছিলেন, গত কয়েক সপ্তাহের বৃষ্টি ও বন্যায় প্রায় তিন কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রস্তুতকারকদের একত্রিত করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও তাঁবুর জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, সিন্ধু প্রদেশ ১০ লাখ এবং বেলুচিস্তান এক লাখ তাঁবু চেয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক সংকট সমন্বয়ক দপ্তর থেকে বলা হয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় ৮২ হাজার বাড়িঘর এবং ১৫০ কিলোমিটার রাস্ত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :