ইমরুল শাহেদ: মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর শেষ করে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরই যুক্তরাষ্ট্র জানালো খুব শিগগিরই তাইপেতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য আলোচনা শুরু হবে। ইয়ন
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হবে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিক থেকে। সব ধরনের বাণিজ্যিক সুযোগ-সুবিধা, ডিজিটাল বাণিজ্য এবং নির্ভেজাল মানদণ্ড সহ সব কিছু নিয়েই আলোচনা করা হবে। পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়েছে।
দুই দেশই বলছে ‘একুশ শতকের মার্কিন-তাইওয়ান উদ্যোগ’ অনুসারে তারা সমঝোতার একটা পর্যায়ে ইতোমধ্যে পৌঁচে গেছেন। এটা শুরু হয়েছে গত জুন মাস থেকে ‘
মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধিদের ডেপুটি সারাহ বিয়ানসি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা একটা উচ্চাভিলাষী সময়রেখা অনুসরণ করার পরিকল্পনা করছি... যেটি ২১ শতকের একটি ন্যায্য, আরও সমৃদ্ধ এবং স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।’
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে দুই দেশের মধ্যে ১০৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। গত আগস্ট মাসে পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে তাইওয়ানের চারপাশে চীন নজিরবিহীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীন নীতি’র স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তাইওয়ানের চাইতে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠিক সম্পর্ক বেশি রেখেছে। একইসঙ্গে তাইওয়ানের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের একটা অনানুষ্ঠানিক মজবুত সম্পর্ক রয়েছে। তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে, যাতে দেশটি আত্মরক্ষা করতে পারে।
বেইজিং মনে করে তাইওয়ান একটি স্বায়ত্তশাসিত অব্জল। তাদের উচিত মূল-ভূখন্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়া উচিত। যাহোক, তাইওয়ান একটি স্বশাসিত দেশ।
আপনার মতামত লিখুন :