ইমরুল শাহেদ: এই উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন বৃহস্পতিবার দেশটির আশপাশে চীনা সামরিক মহড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখানো হয়েছে তাইওয়ানের কত কাছাকাছি এই মহড়া চালানো হয়েছে। ইয়ন
ভিডিওতে জানানো হয়েছে, গত বৃস্পতিবারও চীনের ৫১টি যুদ্ধবিমান এবং ছয়টি যুদ্ধজাহাজ দেখেছেন তারা। এর মধ্যে ২৫টি যুদ্ধবিমান মধ্যবর্তী রেখা অতিক্রম করে তাইওয়ানের দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় আকাশ প্রতিরক্ষা এলাকায় প্রবেশ করেছে। ৩ আগস্ট মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর থেকে চীনা যুদ্ধবিমান বেশ কয়েকবার তাইওয়ানে প্রবেশ করে। তবে পরিস্থিতি উভয় দেশেরই সেনাশক্তি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তাইওয়ানকে চীন মনে করে তাদের ভগ্নাংশ। চীন বলেছে, দরকার হলে বল প্রয়োগের মাধ্যমে দেশটি চীনের সঙ্গে একীভূত করা হবে। গত বছর তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা এলাকায় রেকর্ড সংখ্যক বিমান পাঠিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, চীন ও তাইওয়ানের উচিত শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সমন্বয়কারী কুর্ট ক্যাম্বেল সম্প্রতি বলেছেন, ‘আমরা শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য বেইজিংয়ের চলমান প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে এবং তাইওয়ানকে সমর্থন করার জন্য শান্ত ও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে থাকব।’
যুক্তরাষ্ট্র এবং তাইওয়ান বাণিজ্য সুবিধা, ডিজিটাল বাণিজ্য, অ-বাজার নীতি সহ ওয়াশিংটন এবং তাইপের মধ্যে এগারোটি বাণিজ্য অঞ্চল নিয়ে শরৎকালে বাণিজ্য আলোচনা শুরুর পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর চীনের সর্বশেষ সামরিক কৌশলগুলো দৃশ্যপটে আসে।
আপনার মতামত লিখুন :