ইমরুল শাহেদ: দেশটির সামরিক জান্তা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দামের উর্ধ্বগতি থামিয়ে দিতে রাশিয়া থেকে পেট্রোল ও জ্বালানি তেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে জান্তা সরকারের একজন মুখপাত্র। তিনি জানান, বিশ্বজুড়ে যখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জ্বালানি সংকট প্রকট হচ্ছে, তখনই মিয়ানমার এই সিদ্ধান্ত নিলো। আল-জাজিরা
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দেশটি রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। দুটি দেশই এখন পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কবলে আছে। গত বছর নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করায় মিয়ানমার ঘরে-বাইরে রোষানলের মুখে পড়ে। রাশিয়া পশ্চিমাদের রোষানলে পড়েছে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে।
ইউরোপের বড় বাজার হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ার পর রাশিয়া এই অঞ্চলে তার তেল, গ্যাসের বাজার অনুসন্ধান করছে। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারের সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা রাশিয়া থেকে পেট্রোল আমদানির অনুমতি পেয়েছি।’ তিনি জানান, এতে দুটি সুবিধা। একটি হলো গুণগত মান এবং অপরটি হলো কম দাম।
তিনি জানান, গত মাসে সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাই্ং রাশিয়া সফর কালে তেল ও গ্যাস নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের তেল আসবে সিঙ্গাপুর হয়ে। তিনি বলেন, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যৌথভাবে তেল উত্তোলনের জন্য কাজ করবে মিয়ানমার।
বুধবার মিয়ানমারের গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ন্যায্যমূল্যে মিয়ানমারের প্রয়োজন অনুসারে তেল আমদানির জন্য সেনাপ্রধানের কাছের একজনকে প্রধান করে একটি ক্রয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি ক্রয়, আমদানি ও পরিবহনের বিষয়টি নজরদারিতে রাখবেন।
রাজনৈতিক ও বেসামরিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে মিয়ানমারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাচ্ছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :