ইমরুল শাহেদ: একজন উর্ধ্বতন জাতিসংঘ কর্মকর্তা এ সপ্তাহ থেকে মিয়ানমার সফর শুরু করেছেন। জাতিসংঘ বলেছে, মিয়ানমারের সংকটাপন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ততার মধ্যেই জাতিসংঘ কর্মকর্তা সফর শুরু করলেন। রয়টার্স, গালফ টুডে
গত বছরের শুরুতে সেনাবাহিনী অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকেই মিয়ানমারে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গোটা দেশ প্রতিবাদমুখর হয়ে পড়েছে।
মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ড. নোয়েলীন হেইজারের এই সফর নিয়ে সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রাজনৈতিককর্মী, সুশীল সমাজ এবং চলমান পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর তার এই সফর শুরু হলো।
এদিকে মিয়ানমারে জান্তার পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মঙ্গলবার থেকে হেইজারের সফর শুরু হওয়ার কথা নিশ্চিত করা হয়েছে, তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
মিয়ানমারে চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোটের (আসিয়ান) মধ্যস্থতায় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চলছে। তবে এ ক্ষেত্রে খুব সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে। বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগেই অস্বীকৃতি জানিয়েছেন সেনা জেনারেলরা।
গত বছর জাতিসংঘ মহাসচিব সিঙ্গাপুরের সমাজবিজ্ঞানী ড. হেইজারকে মিয়ানমারের বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেন। সুইস কূটনীতিক ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনারের স্থলাভিষিক্ত হন হেইজার।
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘খুব শক্ত পদক্ষেপ’ নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন শ্রেনার। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রায়ই তাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হতো। মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সেনা জেনারেলরা শ্রেনারকে মিয়ানমার সফর করতে দেননি। শ্রেনার মিয়ানমারে সুচির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন।
ডিসেম্বরে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মিয়ানমারে শ্রেনারের কার্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা। নবনিযুক্ত দূত হেইজারকে সেখানে কার্যালয় খুলতে দেওয়া হবে কি না, তা এখনো জানা যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :