ইমরুল শাহেদ: রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বাস্তব ও গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তৈরিতে বদ্ধপরিকর। স্বাধীনতা দিবসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা বলেছেন পুতিন। দুই দেশের স্বার্থেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিবিসি
কিম জন উন বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে দুটি দেশ বিজয় লাভ করেছে। তিনি বলেন, বিশ্বস্তবন্ধু হিসেবে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উত্তরোত্তর বাড়বে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুতিন বলেছেন এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের মধ্য দিয়ে দুই দেশই নিজেদের স্বার্থ মেনে চলবে।
জবাবে কিম বলেছেন, জাপান বিরোধী বন্ধুত্ব রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে উন্নত ও সুদৃঢ় হয়েছে। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত ও চাতুর্যপূর্ণ সহযোগিতা, সমর্থন ও সংহতি একটা পর্যায়ে পৌঁচেছে। শত্রু বাহিনীর সামরিক হুমকি ও উস্কানিকে হতাশ করাই এই সাধারণ ফ্রন্টের উদ্দেশ্য।
কিম জন উন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জাপান বিরোধী কথাটা উল্লেখ করলেও শত্রু বাহিনী বা দেশ কোন কোনটি তা নাম ধরে উল্লেখ করেননি। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর ক্ষেত্রে অনেক বার টার্মটি ব্যবহার করা হয়েছে।
এক সময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধান মিত্র ছিল উত্তর কোরিয়া। অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সংস্কৃতি বিনিময় ও সহায়তা বিদ্যমান ছিল দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু আয়রন কার্টেনের পতনের পর থেকে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ২০০০ সালের গোড়ার দিক থেকে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়া ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বাড়তে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :