ডেস্ক রিপোর্ট: অনলাইনে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে আলোচনা ও এর প্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে চীন সরকার। গতবছর ভার্চ্যুয়াল মুদ্রার বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। এবার নতুন পদক্ষেপের কথা জানাল দেশটির ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের সাথে জড়িত এমন ১২ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে চীনের সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএসি)।
সিএসি একটি বিবৃতিতে বলছে, যেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে প্রায় এক হাজার অ্যাকাউন্ট ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের জন্য নানারকম নির্দেশনা দিয়ে আসছিল।
যে অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে উইবো, বাইডু, উইচ্যাটের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একইসঙ্গে ১০৫টি ওয়েবসাইটও ব্লক করা হয়েছে। এসব ওয়েবসাইটে ভার্চুয়াল মুদ্রা কেনাবেচা এবং মাইনিংয়ের বিষয়ে টিউটোরিয়াল ছিল।
ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে উচ্চলাভের মিথ্যা প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে অনেকে প্রতারণার শিকার হওয়ার পর নতুন এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে চীনে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি আরো বলছে যে, ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মগুলোকে ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময় বন্ধে আরো শক্ত অবস্থান নিতে হবে এবং এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধে চেষ্টা বাড়াতে হবে।
বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে পতনের পর এর লেনদেনে বারবার সতর্ক করে আসছিল চীনা কর্তৃপক্ষ।
চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সরাসরি অধীনস্থ পত্রিকা ইকোনমিক ডেইলি জুন মাসে এক প্রতিবেদনে বিনিয়োগকারীদের বিটকয়েনের দাম নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিল। এছাড়া অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির বিষয়েও সতর্কবার্তা ছিল ওই প্রতিবেদনে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিংয়ে ঝুঁকি সম্পর্কে সেনজেনের আর্থিক নিয়ন্ত্রক ব্যুরো জুন মাসেও সতর্ক করেছিল। এর লেনদেন অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্ম দেয় এবং আর্থিক শৃঙ্খলা ব্যাহত করে বলেও উল্লেখ করা হয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনের সাথে জড়িত এমন অনেকে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ছেড়ে চলে গেছেন। তারপরও চীনা সরকারের সাম্প্রতিক এসব পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন অনেকেই। সূত্র: ঢাকা পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :