ইমরুল শাহেদ: চীনে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো থান্ট পে রোববার দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কানমিংয়ে মারা গেছেন। এই নিয়ে গত এক বছরেরও কম সময়ে চীনে মারা গেছেন জার্মানি, ইউক্রেন ও ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতরা। আলবাওয়াবা
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মায়ো থান্ট পের মৃত্যুর খবর এক বিবৃতিতে জানালেও কিভাবে তিনি মারা গেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেনি। তবে চীন ও মিয়ানমারের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। তাকে সর্বশেষ গত শনিবার চীনের মিয়ানমার সীমান্তবর্তী দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের একটি অনুষ্ঠানে দেখা যায়।
ইউনানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে মিয়ো থান্ট পের মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধের কথা বলা হয়। তবে, চীনে মিয়ানমারের দূতাবাস এ নিয়ে কিছু বলেনি। মিয়ানমারের জান্তা সরকারও এ ব্যাপারে বড় ধরনের কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি।
২০১৯ সালে চীনে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন মিয়ো থান্ট পে। গত বছর মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করলেও তিনিই চীনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে বহাল থাকেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীনে নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত জ্যান হেকার (৫৪) মারা যান। বেইজিংয়ে নিযুক্ত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তিনি মারা যান। কিন্তু তিনি কেন মারা গেছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীনে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সেরিয়ি কামিসে (৬৫) মারা যান। মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিনি চীনে শীতকালীন অলিম্পিকের ভেন্যু পরিদর্শন করেছিলেন।
গত এপ্রিলে চীনের আনহুই প্রদেশে কোয়ারেন্টাইনে থাক কালে মারা যান ফিলিপাইন্সের রাষ্ট্রদূত জোসে সান্তিয়াগো চিতো রোমানা (৭৪)। তিনি কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :