ইমরুল শাহেদ: চারজন রাজবন্দীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর মিয়ানমারজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। জান্তাদের হাতে আরো ৭০ জন রাজবন্দী রয়েছেন। তাদের মধ্যে নয়জন রয়েছেন নারী। তাদেরও মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আল জাজিরা
ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে প্রতিরোধ যোদ্ধারা মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যে হামলা চালিয়ে ২০ জন জান্তা সদস্যকে হত্যা করেছে এবং জান্তা বাহিনী ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ আরো তীব্রতর হয়েছে।
স্বামীকে জান্তারা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে বলে অন্যের কাছ থেকে শুনেছেন থাজিন নাইয়ুনথ অং। শোনার পর তিনি প্রথমে নির্বাক হয়ে গেলেও পরে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখন আমাকে শুরু হওয়া বিপ্লব সফলভাবে শেষ করতে হবে।’ এমনি প্রতিশ্রুতি অন্যদের ক্ষেত্রেও।
অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, সেনা অভুত্থানের পর থেকে জান্তা বাহিনী এ পর্যন্ত ২,১০০ বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। তাদের অনেকে সেনা হেফাজতেই মারা গেছেন।
এএপিপি পরিচালক বো কাইয়ি বলেন, এখন রাজবন্দী হওয়া সবচেয়ে বিপজ্জনক। মৃত্যুদণ্ডকে জনগণকে দাবিয়ে রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আরো মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সামরিক সরকার নিয়ে কিছুই অনুমান করা যাচ্ছে না। তবে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন স্পষ্টতই বুঝতে পারছি যে, সেনা বাহিনী অত্যন্ত বেপরোয়া ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠেছে।’
বার্মিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক নাথান মং খবর সংগ্রহের জন্য মিয়ানমারের কারাগারে তিন মাস কাটিয়েছেন। তিনি জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অপেক্ষায় এখনো ১০০ জন রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা আমার সহকর্মী ও বন্ধুদের জন্য আমি খুবই উদ্বিগ্ন।’
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পরপরই ১৫-সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ, যার মধ্যে সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় অস্ত্র সরবরাহকারী চীন এবং রাশিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, জি ৭ এর মতোই সর্বসম্মতভাবে এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। নিন্দা জানিয়েছে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোও।
আপনার মতামত লিখুন :