কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুক হামলায় হাতাহতের ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে অভিযানে নেমেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ইতোমধ্যে বহু মানুষকে আটক করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই মুসলিম। হামলায় মুসলিম ছড়িতের অভিযোগ তুলে অনেকের বাড়িতে হামলা চলাচ্ছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা। কয়েকজন মুসলমানকে হত্যাও করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীরা প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার পর সেটি আবার ভিডিওতে স্বীকারোক্তি দিচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৩ এপ্রিল রাতে ভারতের আগ্রাতে তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে গুলফাম নামে এক মুসলিম যুবককে গুলি করে হত্যা করে। নিহত যুবক একটি বিরিয়ানির দোকান চালাতেন। এসময় গুলফামের চাচাত ভাই সাইফ আলীকে গুলি করা হয়। তবে, সেই গুলি তার ঘাড়ে লাগায় তিনি বেঁচে যান।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই মুসলিম যুকবকে হত্যার একদিন পর হামলাকারী সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সে জানায়, কাশ্মিরে ২৬ জনকে হত্যার বদলা নিতে সে আরও ২ হাজার ৬০০ মুসলিমকে হত্যা করবে।
পুলিশের দাবি, ওই হামলাকারী রাজনৈতিক নিরাপত্তা পেতে এখন নিজেকে ক্ষত্রিয় গোরক্ষক দলের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিচ্ছে। ভিডিও দেখে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। অনুবাদ: আরটিভি অনলাইন।