শিরোনাম
◈ সংবাদ পচারে বেনাপোল বন্দরে চালু হলো পণ্যবাহী ট্রাক স্ক্যানিং কার্যক্রম ◈ সিমলা চুক্তি কী, স্থগিত হলে ভারতের ওপর প্রভাব পড়বে? ◈ তারেক রহমানকে নিয়ে দ্য উইকের কাভার স্টোরি ‘নিয়তির সন্তান’ ◈ ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৬৪২ জন গ্রেপ্তার ◈ প্রবাসে বিবস্ত্র ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, মূলহোতা গ্রেফতার ◈ রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধসহ ৪ দফা দাবিতে শাহবাগে শহিদি সমাবেশ শুরু ◈ কাশ্মীরে হামলা: কেন পহেলগামে সেনা ছিল না, ভারত সরকার যা বলছে ◈ স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে সক্ষমতা প্রমাণ করুণ, ইসিকে জামায়াত আমির ◈ দেশের ১৪ জেলায় তাপপ্রবাহ, যে বার্তা দিল অধিদপ্তর

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:৩৮ বিকাল
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাশ্মীরে হামলা: কেন পহেলগামে সেনা ছিল না, ভারত সরকার যা বলছে

ভারতশাসিত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার দুদিন পর বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেছিল ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো। এসময় কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া প্রশ্নের মুখে ফেলে বিরোধীরা।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে আয়োজিত এই বৈঠকে বিরোধীদের মূল প্রশ্ন ছিল—পহেলগামের কাছে বৈসারনে হামলার সময় কেন কোনো নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন ছিল না? কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রথম এই প্রশ্ন তোলেন, পরে রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও আম আদমি পার্টির সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিংসহ আরও অনেকে তা সমর্থন করেন।

জবাবে সরকার জানায়, বৈসারন এলাকা সাধারণত জুন মাসে শুরু হওয়া বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার আগে থেকেই নিরাপত্তার আওতায় আসে। তখন ওই পথ আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয় এবং তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সেনা মোতায়েন করা হয়। কিন্তু এ বছর স্থানীয় পর্যটন সংস্থাগুলো ২০ এপ্রিল থেকেই সেখানে পর্যটক নিয়ে যাওয়া শুরু করে দেয়। প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে আগাম কোনো তথ্য ছিল না। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই পর্যটন শুরু হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়নি।

বৈঠকে বিরোধীরা আরও প্রশ্ন তোলে—ভারতের যদি পানি সংরক্ষণক্ষমতা না থাকে, তাহলে সরকার কেন সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করলো?

জবাবে সরকারি প্রতিনিধি জানান, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবিক লাভের জন্য নয়, বরং প্রতীকী ও কৌশলগত বার্তা দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ভারত সরকার কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত, সেটাই এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকার কোন পথে এগোবে, তার ইঙ্গিতও এতে রয়েছে।

বৈঠকে কংগ্রেস, বিজেপি, এনসিপি-এসপি, শিব সেনা, আরজেডি, ডিএমকে ও সমাজবাদী পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন জেপি নাড্ডা, সুপ্রিয়া সুলে, প্রফুল প্যাটেল, সসমিত পাত্র, শ্রীকান্ত শিন্ডে, প্রেমচাঁদ গুপ্ত, তিরুচি শিবা ও রাম গোপাল যাদব। সূত্র: এনডিটিভি ও জাগোনিউজ২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়