ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতে ভারতের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে জানানো হয়। এছাড়া এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের যেকোনো পদক্ষেপের চূড়ান্ত জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সিনেট অধিবেশনে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, ভারত কোনো প্রমাণ ছাড়াই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এগুলো ভারতের ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য।
জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে সংসদকে অবহিত করে দার বলেন, সার্ক ভিসায় পাকিস্তানে থাকা সব ভারতীয় নাগরিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে হবে।
পাকিস্তান এ বিষয়ে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ আছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ২৬টি দেশকে ব্রিফ করা হয়েছে। বাকিদের আজ ব্রিফ করা হবে।
অতীতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে ভারতকে সতর্ক করেন ইসহাক দার। বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’। যেকোনো শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ডের চূড়ান্ত জবাব দেয়া হবে।
তিনি বলেন, সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করা যাবে না, কারণ চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই চুক্তি স্থগিত করতে হবে। পানি ২৪ কোটি পাকিস্তানির জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি এরইমধ্যে পানি স্থগিতের হুমকিকে যুদ্ধের শামিল বলে ঘোষণা করেছে।
এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই দেশের মধ্যে পূর্ণ মাত্রার সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে বিশ্বকে ‘চিন্তিত’ হওয়া উচিত।
ব্রিটিশ স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ সতর্ক করে বলেছেন, ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে প্রাণঘাতী গুলিবর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশটির সঙ্গে (পাকিস্তানের) উত্তেজনা ‘সর্বাত্মক যুদ্ধে’ রূপ নিতে পারে।