শিরোনাম
◈ পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে ভ্যাটিকানে অধ্যাপক ইউনূস ◈ অভিনব কৌশল, পোশাকের ভেতর তরল সোনা নিয়ে ওসমানীতে ধরা পড়লেন যাত্রী ◈ আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ, প্রমাণ করতে ভিডিও নিয়ে হাজির পাকিস্তা‌নের ক্রিকেটার ◈ মনিরুল ইসলাম নারীসহ আটকের দাবি মিথ্যা, বাগেরহাটের শিক্ষকের ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে ◈ পিএস্এলএ  কর্মরত ভারতীয়‌দের ফেরত পাঠা‌চ্ছে পাকিস্তান ◈ সংবাদ পচারে বেনাপোল বন্দরে চালু হলো পণ্যবাহী ট্রাক স্ক্যানিং কার্যক্রম ◈ সিমলা চুক্তি কী, স্থগিত হলে ভারতের ওপর প্রভাব পড়বে? ◈ তারেক রহমানকে নিয়ে দ্য উইকের কাভার স্টোরি ‘নিয়তির সন্তান’ ◈ ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৬৪২ জন গ্রেপ্তার ◈ প্রবাসে বিবস্ত্র ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, মূলহোতা গ্রেফতার

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৫৫ দুপুর
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুবাইতে জনপ্রিয় হচ্ছে মাসিক কিস্তিতে স্বর্ণ কেনার পদ্ধতি

স্বর্ণের বাজারে চলছে সোনালি ঝলক। বিশ্ববাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখী। তারই প্রভাব পড়েছে দুবাইয়ের স্বর্ণবাজারে। ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ৩৭০ দিরহাম, আর ২৪ ক্যারেট পৌঁছে গেছে ৪৪০ দিরহামের ওপরে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২ হাজার ২৭৩ ও ১৪ হাজার ৫৯৪ টাকা (প্রতি দিরহাম ৩৩.১৭ টাকা করে) । ক্রমবর্ধমান দামের কারণে বদলে গেছে ক্রেতাদের কেনাকাটার ধরন। এখন তারা এককালীন কেনার বদলে মাসিক কিস্তিতে স্বর্ণ কেনাকে বেছে নিচ্ছেন। খবর গালফ নিউজ

দেশের শীর্ষস্থানীয় জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন নানা স্কিমের মাধ্যমে মাসিক কিস্তিতে স্বর্ণ কেনার প্রবণতা বাড়ছে। ১ হাজার থেকে ২ হাজার পর্যন্ত মাসিক কিস্তি রাখা যাচ্ছে, কিন্তু চাইলে এর থেকেও কমে শুরু করা সম্ভব। নির্দিষ্ট সময় পর জমাকৃত অর্থের বিনিময়ে ক্রেতারা স্বর্ণ, কয়েন, বার অথবা গয়না যেকোনো রূপে তাদের পছন্দের স্বর্ণ পেয়ে যাবেন।

ক্রেতারা অনেকেই এখন স্বর্ণের দাম কমার অপেক্ষায় থাকেন। তবে কিস্তি পদ্ধতির সুবিধা হলো, এতে তারা বাজারে এখনই প্রবেশ করতে পারছেন এবং পরে সুবিধাজনক দামে স্বর্ণের মালিক হতে পারছেন।

দুবাইয়ের প্রবাসী মন্দর খাতু বলেন, ‘এই স্কিমের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, আপনি চাইলে ১২ মাসের পরে আরও এক বছর বাড়াতে পারেন। আমি প্রথম বছর শেষে এক মাসের কিস্তি বিনামূল্যে পেয়েছি।’ এই নতুন পদ্ধতিতে শুধু প্রবাসীরাই নন, দুবাইয়ে ঘুরতে আসা অনেক পর্যটকও আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অনেক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘আগে হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বর্ণ কেনা হতো, এখন ক্রেতারা পরিকল্পনা করে, ধাপে ধাপে কিনছেন।’

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে গয়নার বিক্রি কিছুটা কমলেও স্বর্ণের বার ও কয়েনের বিক্রি বেড়েছে। এর মানে স্বর্ণ এখন শুধুমাত্র অলংকার নয়, বরং নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবেই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে ৩ হাজার ৫০০ ডলার ছুঁয়েছে। এর প্রভাবেই দুবাইয়ে ২২ ক্যারেটের দাম পৌঁছেছে ৩৮৮ দিরহামে, আর ২৪ ক্যারেট ৪১২ দিরহামে। অক্টোবর ২০২৪ থেকে এই ঊর্ধ্বগতি শুরু হয় এবং মাত্র ছয় মাসে দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, ক্রেতারা এখন আর আগের মতো হুট করে স্বর্ণ কিনছেন না। বরং তারা মাসিক কিস্তিতে সঞ্চয় করে একসময়ে স্বর্ণ কেনাকেই লাভজনক বিনিয়োগ হিসেবে দেখছেন। দুবাইয়ের এই নতুন ধারার ক্রেতারা শুধু স্বর্ণ কিনছেন না, বরং একটি সোনালি ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনাও করছেন। অনুবাদ: চ্যানেল২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়