শিরোনাম
◈ কুয়েটের উপাচার্য ও সহ-উপাচার্যের পদত্যাগ ◈ প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের গোপন সামরিক জাল! ◈ কাশ্মীর হামলার পর দিল্লির দৃষ্টি ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর দিকে, পাল্টা হুঁশিয়ারিতে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ◈ ৬০ শতাংশের বেশি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়াতে চায়: জাপানের ভাইস মিনিস্টার ◈ দুর্নীতির প্রমাণ দিতে ব্যর্থ দুদক, ন্যায়বিচার লঙ্ঘনের অভিযোগ টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীদের ◈ বাবার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদে রাজি না হওয়ায় সৎ মাকে শায়েস্তা করতে পুলিশকে ব্যবহার করেন শাওন: এজাহারে বাদীর দাবি ◈ কুয়েট উপাচার্য অব্যাহতির ঘোষণায় আন্দোলনের অবসান, অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা ৫৮ ঘণ্টা পর ◈ হামাসকে ‘কুকুরের বাচ্চা’ বললেন মাহমুদ আব্বাস, গাজার নিয়ন্ত্রণ ও জিম্মি মুক্তির দাবি ◈ জিত‌লো রিয়াল মা‌দ্রিদ, টি‌কে রই‌লো  শিরোপা লড়াইয়ে ◈ ডিবি পুলিশ সেজে ইমামকে অপহরণ করে ৪.৩০ লাখ টাকা লুট, বন্দর থানায় মামলা

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৫ দুপুর
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাশ্মীর হামলার পর দিল্লির দৃষ্টি ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর দিকে, পাল্টা হুঁশিয়ারিতে উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক

ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর মতো সেনা অভিযানের সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারতের কেন্দ্রীয় নরেন্দ্র মোদি সরকারের পক্ষে বেশ কঠিন। কারণ, সে ক্ষেত্রে পাকিস্তানও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে পারে। আগেরবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়ে ভারত সুবিধা করতে পারেনি।

কাশ্মীরে অস্ত্রধারীদের হামলার ঘটনায় আবারও উত্তপ্ত পাকিস্তান-ভারত রাজনীতি। এই হামলার দায় পুরোপুরি ইসলামাবাদের ওপর চাপিয়েছে নয়াদিল্ল। যদিও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সরাসরি বলেছেন, পাহেলগাঁও হামলার সাথে তার দেশের কোনো যোগসাজশ নেই। তারপরও পাল্টা ব্যবস্থা নিতে মরিয়া দিল্লি। এই ঘটনায় আবারও উঠছে প্রশ্ন, আবারও কি ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো কোনো পদক্ষেপ নেবে?

গত কয়েক বছরে ভারত-পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ‘ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্ট’ নামে বিজ্ঞানীদের সংগঠন। সেখানেই দুই দেশের আণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের একটি ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে তারা। 

‘ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্ট’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে নয়াদিল্লির পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা ১৮০। সেখানে পাক সেনার কাছে আছে ১৭০টি আণবিক অস্ত্র। উল্লেখ্য, বিশ্বের মোট নয়টি দেশের কাছে এই গণবিধ্বংসী হাতিয়ার রয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান ছাড়া বাকি দেশগুলি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, চিন, উত্তর কোরিয়া এবং ইসরায়েল।

কয়েক দিন আগেই একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তিনি কাশ্মীরকে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ শিরা বলে উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে পুরো কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার প্রত্যাশার কথাও জানান পাকিস্তানের সেনা প্রধান। জেনারেল মুনির তার আগে কাশ্মীরের জন্য ভারতের সাথে প্রয়োজনে আরও ১০টি যুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করলে, ভারতকে অন্তত শতবার ভাবতে হবে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ, সামরিক সক্ষমতায় ভারতের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই পাকিস্তান। উল্টো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দুই দেশ সমানে সমান।

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা চালায় জইশ-ই-মহম্মদের নামের একটি সংগঠন। তাতে প্রাণ হারান ৪০ জন নিরাপত্তাকর্মী। ওই ঘটনার পর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বালাকোটে জইশ ক্যাম্পে বিমানহানা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। তবে সেই স্ট্রাইক চালাতে গিয়ে বরং ভারতই বিপদে পড়ে। তাদের পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ধরে ফেলেছিলো পাকিস্তান। যা ভারতের জন্য ছিলো খুবই বিব্রতকর। এতে নয়াদিল্লি বিমান বাহিনীর দুর্বলতাও পরিষ্কার হয়ে ওঠে। বিপরীতে ডগফাইটে কার্যত বিজয়ী হয়ে তাতে দেশে বীরের তকমা পায় পাকিস্তানের বিমান বাহিনী। তাই মোদিকে ভাবতেই হচ্ছে, আসলে তিনি কি করবেন? সূত্র: বিডি প্রতিদিন/

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়