পার্সটুডে-আরব সাগরে প্রবেশের পর প্রথমবারের মতো আমেরিকার যুদ্ধজাহাজ 'ভিনসন'-কে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী।
পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি শুক্রবার সানায় ইয়েমেনি মিছিলকারীদের বিশাল সমাবেশে ঘোষণা করেন: ইয়েমেনি ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট একটি অভিযানের সময় জুলফিকার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অধিকৃত জাফা এলাকার বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের উপকণ্ঠের একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
গতকাল ইয়েমেনের জনগণ আবারও গাজার জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশ করে মিছিল করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী হামলা ইয়েমেনি জনগণকে কখনই ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে পারবে না বলে ইয়েমেনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘোষণা দেওয়ার পর ওই পদযাত্রা শুরু হয়।
ইয়েমেনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় সারি জানান: সানা প্রদেশে আক্রমণাত্মক অভিযানের সময় একটি মার্কিন এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
এই ড্রোনটিসহ, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ বাহিনী ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০টি ব্যয়বহুল আমেরিকান এমকিউ-৯ ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
অন্য খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শনিবার সকালে সানা প্রদেশের আরহাব অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো সা’দা এবং আল-জাওফ প্রদেশেও সাত দফা হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আমেরিকান হানাদাররা সাদা শহরে তিনবার এবং জাওফ প্রদেশের বারত আল-আনান, খাব এবং আল-শাফ এলাকায় চারবার হামলা করেছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে মার্কিন যুদ্ধবিমান সানা প্রদেশের বানি হাশিশ এলাকা লক্ষ্য করে ছয়টি বোমা নিক্ষেপ করে। সংবাদ সূত্র আরও জানায় শুক্রবার পশ্চিম ইয়েমেনে আমেরিকান যুদ্ধবিমানের বোমা হামলায় শহীদের সংখ্যা বেড়ে ৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। হোদেইদাহ প্রদেশের রাস ঈসা স্থাপনায় মার্কিন হামলায় আহতের সংখ্যাও বেড়ে ১২৬ জনে পৌঁছেছে।
এদিকে, ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের রাজনৈতিক কার্যালয় শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি কঠোর বিবৃতি দিয়েছে। ওই বিবৃতিতে হোদেইদাহ প্রদেশের রাস ইসা তেল বন্দরে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়ে এটিকে 'যুদ্ধাপরাধ' বলে অভিহিত করা হয়েছে।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সমর্থনে এবং ইয়েমেন কর্তৃক আরোপিত নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের হামলায় এ পর্যন্ত কয়েক ডজন শহীদ ও আহত হয়েছে।
এই আক্রমণ সত্ত্বেও, ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী গাজা উপত্যকার প্রতিরোধ আন্দোলন এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। তারা দখলদার ইসরাইলের কেন্দ্রস্থল এবং ইহুদিবাদী সরকারের সাথে যুক্ত জাহাজ এমনকি লোহিত সাগর ও ভারত মহাসাগরে আমেরিকান জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। সেইসাথে বেশ কয়েকটি উন্নত আমেরিকান ড্রোন ভূপাতিত করেছে।