শিরোনাম
◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ◈ অফিস সময়ে সভা করতে সম্মানী নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল, বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ ছাড়াই হজে যাবেন যাত্রীরা ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে: ড. ইউনূস ◈ ৪ বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, থানায় দেখা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ◈ প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ◈ ইসরাইলিদের আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার গুঞ্জন, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা ◈ শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ছাত্রদলের প্রতিবাদ ◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন 

প্রকাশিত : ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:১৪ দুপুর
আপডেট : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজা যুদ্ধ জিম্মি মুক্তি দিলেই অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হবে: যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় ইসরায়েলি হামলা তখনই শেষ হবে যখন হামাস সব অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রধান জিম্মি মুক্তিদূত অ্যাডাম বোয়েলার। বুধবার (১৬ এপ্রিল) তার এমন মন্তব্যটি আসে, যখন গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৫১ হাজার ২৫ জনে। আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

সাক্ষাৎকারে অ্যাডাম বোয়েলার বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, জিম্মিরা মুক্তি পেলেই যুদ্ধ তাৎক্ষণিকভাবে শেষ হবে। তিনি বলেন, যেদিন বন্দিরা মুক্তি পাবে, সেদিনই যুদ্ধ শেষ হবে।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও, বোয়েলার বলেন, দায়িত্ব এখন হামাসের কাঁধে।

হোয়াইট হাউজ দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, হামাসই এই যুদ্ধ শেষ করতে পারে।

বোয়েলার আরও বলেন, ট্রাম্প পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, সব বন্দি মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই এগোবে না।

তিনি বলেন, প্রথম ধাপ-সব জিম্মি মুক্তি। দ্বিতীয় ধাপ-তারপর দেখা যাক ‘পরবর্তী দিন’ কেমন হবে।

তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। কেবল ট্রাম্পের পূর্বের প্রস্তাবের দিকে ইঙ্গিত করেন, যাতে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে স্থানান্তরের কথা বলা হয়।

হামাস বলেছে, তারা তখনই আরও জিম্মি মুক্তি দেবে যদি একটি নতুন যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়, যেখানে কিছু শর্ত নিশ্চিত করতে হবে, যেমন: ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ গাজা প্রত্যাহার-যা এখন পর্যন্ত অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।

পূর্ববর্তী ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে, হামাস মোট ৩৩ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছিল। বিনিময়ে গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানো হয় এবং ইসরায়েলের হাতে বন্দি কিছু ফিলিস্তিনিকেও মুক্তি দেয়া হয়।

দ্বিতীয় ধাপের আওতায় সব অবশিষ্ট জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। এর বিনিময়ে যুদ্ধের স্থায়ী অবসান ঘটত। তৃতীয় ধাপে সব জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়া এবং পুনর্গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা ছিল।

কিন্তু প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পরই আলোচনা ভেঙে পড়ে এবং ইসরায়েল আবার হামলা শুরু করে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, নতুন করে কমপক্ষে ৫ লাখ ফিলিস্তিনি সর্বশেষ এই হামলার ফলে গৃহহীন হয়েছেন। নিহত হয়েছে অন্তত ১,৬৫২ জন ফিলিস্তিনি। 

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, বর্তমানে গাজায় ২৪ জন জীবিত জিম্মি রয়েছেন। তারা সবাই পুরুষ সেনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া আরও ৩৫ জন জিম্মির মরদেহ এখনও গাজায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়