ইমরুল শাহেদ: রাখাইনের মংডু টাউনশিপে সামরিক বাহিনী গ্রামবাসীদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করেছে। কারণ আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য আহত হয়েছে। সোমবার মংডুর সীমান্ত রক্ষীদের আস্তানায় হামলা দিয়ে ১৪ জনকে আটক করেছে আরাকান আর্মি। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে গ্রেপ্তার অভিযান। ইরাবতি
বুধবার ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে কাইয়িন চং গ্রামের তিনজনকে আটক করে। এর মধ্যে একজন গ্রাম প্রশাসকও রয়েছেন। তার বাড়ি সংঘর্ষের স্থান থেকে পাঁচ মাইল দূরে। এ তথ্য জানিয়েছে আটকদের
আত্মীয়স্বজনরা। একজন আত্মীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাড়িতে প্রবেশ করেই তারা আমাদের ফোন ছিনিয়ে নেয় এবং ঘরে ও বাইরে কি যেন খুঁজতে থাকে। আমরা কেউ জানি না তারা কি খুঁজছিল। আমরা এটাও জানিনা তারা কেন এই তিনজনকে আটক করেছে।’
মংডু টাউনশিপে ব্যাপক সেনা সমাবেশ ঘটানোয় এলাকার লোকজন বেশ আতঙ্কে আছে। বাসিন্দারা বলেছেন, বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে মংডুতে।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খায়িং তুকা রাখাইনের গণমাধ্যমকে বলেছেন, সোমবার জান্তা বাহিনীর উপর হামলাটা ছিল প্রতিশোধমূলক। তারা এর আগে কারেন রাজ্যে বিমান হামলা চালিয়েছে, তাতে ছয়জন আরাকান আর্মির যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
আরাকান আর্মি ও জান্তা বাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে এই দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা প্রায় অসম্ভব। এজন্য রাখাইনে উত্তেজনা আবার বেড়েছে। সূত্রটি বলেছে, যেহেতু দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা অসম্ভব, সেহেতু যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। সেনা উত্তেজনা এতোই ব্যাপকতা পেয়েছে যে, সেখানে জেনারেল ইয়ার পায়িকে পাঠানো হয়েছে। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে তাদের সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।
আপনার মতামত লিখুন :