শিরোনাম
◈ উত্তরা এলাকায় হঠাৎ আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ◈ ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতে সমঝোতা স্বাক্ষর ◈ কাশ্মীর নিয়ে কোনো ছাড় নয়, ১৩ লাখ ভারতীয় সেনাদের ভয় পায় না পাকিস্তান: জেনারেল আসিম মুনির ◈ দেশে প্রথমবার অভ্যন্তরীণ রুটে কনটেইনারবাহী জাহাজ চলাচল শুরু, রপ্তানিতে আসবে গতি ◈ 'টিপকাণ্ড' ঘিরে মানহানির মামলা: ১৬ তারকাকে আসামি করলেন সেই চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য ◈ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জটিলতা বাড়াচ্ছে আরাকান আর্মি, জাতীয় স্বার্থে আলোচনা সম্ভব: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ কৃ‌ষি গু‌চ্ছের বিশ্ব‌বিদ‌্যালয় ও বিষয় পছ‌ন্দের আবেদন শুরু ◈ বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের পক্ষে ভারতের যুক্তি: ‘আগে বাংলাদেশ কী করেছে, সেটাও দেখতে হবে’ ◈ কূটনীতিকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার দাবি করেন মডেল মেঘনা: চার্জশিটে অভিযোগ ◈ মালয়েশিয়ায় বড় ধরনের অভিযান: ১৬৫ বাংলাদেশিসহ ৫০৬ অবৈধ অভিবাসী আটক

প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৩০ দুপুর
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার মার্কিন পণ্যে পাল্টা ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ চীনের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নীতির জবাবে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্কহার ৮৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছে চীন। এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়।

চীনা অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, 'যুক্তরাষ্ট্র যদি শুল্ক আরোপ অব্যাহতও রাখে, তাতে আর কোনো অর্থনৈতিক লাভ নেই। বরং এটা বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসে এক হাস্যকর অধ্যায় হিসেবে ঠাঁই পাবে।'

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'বর্তমানে শুল্কের যে হার, তাতে চীনের বাজারে আর যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের কোনো চাহিদা নেই। যদি যুক্তরাষ্ট্র আরও শুল্ক বাড়ায়, তবে বেইজিং সেটাকে উপেক্ষা করবে।'

সিএনবিসি জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন বৃহস্পতিবার নিশ্চিত করেছে যে, বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্কহার দাঁড়িয়েছে ১৪৫ শতাংশে। এর মধ্যে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নির্বাহী আদেশে ১২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ফেন্টানিল-সম্পর্কিত শুল্ক হিসেবে যুক্ত হয়েছে আরও ২০ শতাংশ।

তবে উত্তেজনা বৃদ্ধির মাঝেও শুক্রবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, সমমর্যাদার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার জন্য এখনো প্রস্তুত বেইজিং।

গত এক সপ্তাহ ধরে চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ ও মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নানা বিধিনিষেধ দেওয়ায়, দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির আশা ক্রমেই ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।

এর আগে, বুধবার ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, 'চীন আলোচনায় আসতে চায় না, এটা দুঃখজনক। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় ওরাই সবচেয়ে বড় অপরাধী।'

তিনি আরও বলেন, 'আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে চীনের মতো ভারসাম্যহীন অর্থনীতি আর নেই। এই উত্তেজনা চীনের জন্য ক্ষতির কারণ হবে, এটা নিশ্চিত।'

বৃহস্পতিবার গোল্ডম্যান স্যাকস তাদের পূর্বাভাসে চীনের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ৪ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সংস্থাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির মন্দা এর পেছনের প্রধান কারণ।

বিশ্লেষকদের মতে, চীনের মোট জিডিপির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির অবদান প্রায় ৩ শতাংশ হলেও এতে দেশের বিপুলসংখ্যক শ্রমিকের ওপর প্রভাব পড়ে। আনুমানিক ১ থেকে ২ কোটি চীনা কর্মী যুক্তরাষ্ট্রমুখী রপ্তানি খাতে যুক্ত।

চীন শুক্রবার ফের জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি তার স্বার্থে হস্তক্ষেপ অব্যাহত রাখে, তবে বেইজিং 'দৃঢ়ভাবে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে'।

সিএনবিসি জানায়, এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস এখনো কোনো মন্তব্য দেয়নি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়