শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ কাউকে কানেক্টিভিটি চাপিয়ে দেবে না, কেউ নিলে খুব ভালো না নিলে কিছু করার নেই ◈ বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ◈ দিল্লিতে বসে যতই ষড়যন্ত্র করুক, খুনিদের বিচার করবোই: অ্যাটর্নি জেনারেল (ভিডিও) ◈ পারস্পারিক শুল্ক নীতি ট্রাম্পের, ভারত-বাংলাদেশসহ আরও যেসব দেশ ক্ষতির মুখে পড়বে ◈ সাতক্ষীরায় ভাঙনকবলিত গ্রামবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে সেনাবাহিনী ◈ জুলাই আগস্টের গণহত্যা: শেখ হাসিনার মামলার খসড়া তদন্ত রিপোর্ট প্রসিকিউশনের হাতে ◈ চলন্ত ট্রেনের ছাদে টিকটক, পড়ে গিয়ে দুজনের মৃত্যু (ভিডিও) ◈ সরাসরি বাংলাদেশ ভাঙার উসকানি, হিন্দুদের জন্য আলাদা ভূখণ্ড দাবি: ভারতীয় গণমাধ্যমের কলাম ◈ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিসা আবেদনকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে নজরদারির নির্দেশ ◈ বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:৩১ দুপুর
আপডেট : ০২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩ লাখ মানুষ মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ভূমিকম্পে 

জাপানে দীর্ঘদিন ধরে আশঙ্কা করা মেগা ভূমিকম্প যে বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনতে পারে, তা নতুন এক সরকারি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিস সোমবার প্রকাশিত এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে প্রায় ২ লাখ ৯৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে এবং দেশটির মোট জিডিপির প্রায় অর্ধেকের সমান ২৭০ ট্রিলিয়ন ইয়েন (প্রায় ১.৮১ ট্রিলিয়ন ডলার) অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে। খবর রয়টার্সের। 

ভূকম্পবিদদের মতে, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি সম্ভাবনা রয়েছে যে, জাপান ৮ বা তার বেশি মাত্রার একটি মেগা ভূমিকম্পের সম্মুখীন হবে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, ভূমিকম্পটি যদি ভূ-পৃষ্ঠের কাছাকাছি বা ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে আঘাত হানে, তাহলে তা ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হতে পারে।

সরকারি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সম্ভাব্য ৯ মাত্রার ভূমিকম্প বিশাল সুনামি সৃষ্টি করতে পারে, যা শত শত ভবন ধ্বংস করবে এবং ১২ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করবে। এটি জাপানের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত নানকাই খাদ প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ বছরে একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটায়। সর্বশেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৪০-এর দশকে, যা থেকে বোঝা যায় যে পরবর্তী ভূমিকম্পের জন্য অঞ্চলটিতে প্রচুর ভূ-চাপ জমেছে।

এর আগে, ২০১১ সালে উত্তর-পূর্ব জাপানে ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। সেই ভূমিকম্পের কারণে ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দেয়, যা চেরনোবিলের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত হয়।

২০২৩ সালে জাপান নানকাই অঞ্চলে ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পর প্রথমবারের মতো মেগা ভূমিকম্পের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্কতা জারি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা আর উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়