আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সকে (আরএসএফ) হটিয়ে পুনরায় প্রেসিডেন্ট ভবন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি করেছে সুদানের সেনাবাহিনী। দুই বছর আগে আরএসএফের সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। এতে করে গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে সুদান। এরমধ্যে আজ শুক্রবার (২১ মার্চ) সেনাবাহিনী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন পর আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) কাছ থেকে দেশের কেন্দ্রস্থল পুনরুদ্ধার করেছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা মধ্য খার্তুমের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সামরিক সূত্র জানিয়েছে, আরএসএফ যোদ্ধারা প্রায় ৪০০ মিটার দূরে সরে গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) সদস্যদের ধাওয়া করার জন্য সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী প্রাসাদের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আরএসএফের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজধানী খার্তুমের কিছু কেন্দ্রীয় এলাকায় মাঝেমধ্যে গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে।
জাতিসংঘের মতে, এই সংঘাত বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটের দিকে পরিচালিত করেছে। যার ফলে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে দুর্ভিক্ষ এবং রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে। আধা সামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, অন্যদিকে আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে। উভয় পক্ষই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাবিল আব্দেল্লাহ রাষ্ট্রয়াত্ত্ব টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বাসভবন পুনর্দখলের পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে সেনারা। এছাড়া সেনারা আরএসএফের সদস্য ও যুদ্ধাস্ত্র ধ্বংস করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে সেনা সদস্যদের উল্লাস করার ভিডিও শেয়ার করেছে সেনাবাহিনী। ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের জানালার কাচ ভেঙে গেছে এবং দেওয়াল বুলেটের দাগে ভরা।
এর আগে, সশস্ত্র বাহিনীতে আধাসামরিক বাহিনীর একীকরণকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আরএসএফ দ্রুত খার্তুমের প্রাসাদসহ শহরের বাকি অংশও দখল করে নেয়।