আনন্দবাজার; ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে মায়ানমারের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলে নতুন জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ গড়ে সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল। তা এখনও চলছে।
বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশে নিরঙ্কুশ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার পর এ বার মায়ানমারের মধ্যাঞ্চলে হামলা শুরু করল বিদ্রোহী গোষ্ঠী রাখাইন আর্মি। রবিবার থেকে জুন্টা সরকারের সেনার বিরুদ্ধে বাগো এবং মান্দালয় প্রদেশে অভিযান শুরু করেছে তারা। বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে মান্দালয়ে মায়ানমার বিমানবাহিনী হামলা চালালে ২৭ জন সাধারণ গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।
মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইরাওয়াদি’ জানিয়েছে, আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের হানায় বাগোর প্রধান সেনাশিবির নায়ুনগো কার্যত পতনের মুখে! জুন্টা বায়ুসেনার ধারাবাহিক হামলা সত্ত্বেও ইয়াওয়াদি নদীর অববাহিকায় অবস্থিত ওই সেনাশিবিরটি ঘিরে ফেলেছে আরাকান আর্মি।
মায়ানমারের অন্যতম সমৃদ্ধ প্রদেশ মান্দালয়ের একাংশও ইতিমধ্যেই আরাকান আর্মির কব্জায় চলে গিয়েছে বলে ওই সুচির সমর্থক সংবাদমাধ্যমের দাবি। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলিতে সোমবার হানা দেয় মায়ানমার সেনার যুদ্ধবিমান। এতে মোট ২৭ জন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন বলে দ্য ইরাওয়াদির দাবি। ১৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘চিন-মায়ানমার অর্থনৈতিক করিডোরে’র সঙ্গে মধ্য মায়ানমারের ওই দুই প্রদেশ যুক্ত। আরাকান আর্মি তাই কৌশলগত সামরিক পদক্ষেপ হিসাবেই বাগো এবং মান্দালয়ে অভিযান শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।