অবৈধভাবে ইউরোপে ঢোকার প্রবণতা কমলেও ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে মহাদেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রবেশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুটে এ প্রবণতা ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যাদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্ত ও উপকূল সুরক্ষা সংস্থা ফ্রন্টেক্স এ তথ্য জানিয়েছে। খবর: বিডি-প্রতিদিন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সীমান্তবিষয়ক এজেন্সি ফ্রন্টেক্সের তথ্য মতে, ভূমধ্যসাগর রুটটিতে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী প্রবেশ করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাজের বৈধতা দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানের চুক্তি হয় দালালদের সঙ্গে। তারপর এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেলে দেওয়া হয় বিপজ্জনক পথে।
এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি অভিবাসী ইউরোপে যান মালি, সেনেগাল ও গিনি থেকে। জাতিগত দিক থেকে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী যায় যথাক্রমে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও মালি থেকে। গত দুই মাসে সবচেয়ে বেশি অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমাঞ্চলীয় বলকানদের মধ্যে। কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় রুট ইউরোপে প্রবেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক সক্রিয় রুট হয়ে উঠেছে। লিবিয়া হয়ে উঠছে ইউরোপযাত্রার মূল কেন্দ্র। কর্তৃপক্ষের নজর এড়াতে পাচারকারীরা ব্যবহার করছে শক্তিশালী স্পিডবোট। এ পথে সমুদ্র পারাপারের জন্য জনপ্রতি নেওয়া হয় ৫ থেকে ৮ হাজার ইউরো।