শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ১১:৩১ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৭ বছর ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে ‘বাবার বন্ধু’!

এক কিশোরিকে ৭ বছর ধরে ধর্ষণ করেছে কিশোরির বাবার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ২০১৮ সালে মেয়েটির বয়স তখন মাত্র ১৫ বছর, সেই কিশোরী বয়সেই প্রথমবার যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে। ভারতের কলকাতায় ঘটেছে এ ঘটনা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

মেয়েটির দাবি, ২০১৮ সাল থেকে বাবার ওই বন্ধু তাকে লাগাতার ধর্ষণ করে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, নিজেকে বাঁচাতে ধর্ষণ করার সময় সেই সমস্ত কুকর্মের ভিডিও তৈরি করেছে অভিযুক্ত। সেই ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়েই এতগুলো বছর ধরে কিশোরী থেকে তরুণী বয়সে পৌঁছানো মেয়েটির উপর লাগাতার পৈশাচিক অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে সেই ব্যক্তি।

পুলিশ সূত্রে জানা আরও জানা গেছে, বর্তমানে অভিযুক্তের বয়স ৪৬ বছর। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, নিগৃহীতার বাবা-মা যখন এই গোটা ঘটনা জানতে পারেন, তখন তাদেরও একইভাবে ভয় দেখায় ও হুমকি দেয় অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ী নিগৃহীতার বাবার সবথেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। এতে মেয়েটির বাড়ির অন্দরমহলে ঢোকা এবং তার একেবারে কাছে পৌঁছে যাওয়া তার কাছে খুবই সহজ ছিল।

তদন্তে আরও জানা যায়, গত প্রায় ৭ বছর ধরে মেয়েটিকে শোষণ করার পর অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি বন্ধুর মেয়েকেই বিয়ে করার ফন্দি করছিল। একথা জানার পরই তরুণী রুখে দাঁড়ান। পরে মেয়েটি তার বাবা-মাকে পুরো ঘটনা জানান।

এই ঘটনার তদন্তের জন্য ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় হরিদেবপুর থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা যতটা সম্ভব দ্রুততার সঙ্গে এই ঘটনায় চার্জশিট তৈরি করে তা আদালতে পেশ করবে।

স্থানীয় ডিসির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০১৮ সাল থেকে মেয়েটির সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। অভিযুক্ত যে সেটা করেছে, তা এফআইআর-এ উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সময় মেয়েটি নাবালিকা ছিল। তাই, আইনত তখনও সে এই বিষয়ে সম্মতি দেওয়ার বয়সে পৌঁছায়নি। অভিযুক্ত এই সমস্ত ঘটনার ছবি তুলে এবং ভিডিও রেকর্ডিং করে রেখেছিল এবং সেগুলোর সাহায্যেই সে মেয়েটিকে ভয় দেখাত। সে মেয়েটিকে এই বলে হুমকি দিয়েছিল যে যদি সে তার কথা মতো কাজ না করে, তাহলে ওই সমস্ত ছবি আর ভিডিও সে অনলাইনে ফাঁস করে দেবে।

ডিসি আরও জানান, ‘মেয়েটির বাবা-মা যখন জানতে পারেন, তাদের সন্তানের উপর এভাবে অত্যাচার করা হয়েছে, তারা এর প্রতিবাদ করেন। তখন তাদেরও ভয় দেখানো হয়। অভিযুক্ত নিজের বাড়িতে এবং নির্যাতিতার বাড়িতে এ নিয়ে মেয়েটির বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে ও তাদের উদ্দেশে অশালীন ভাষা ব্যবহার করে।’

গত ৩ মার্চ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অন্যান্য ফৌজদারি ধারার পাশাপাশি পকসো আইনেও মামলা রুজু করা হয়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়