ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে সমন জারি করতে স্থানীয় আদালতকে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। সমনটি জারি করেছে মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। যুক্তরাষ্ট্রে আদানির বিরুদ্ধে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের ঘুষ দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠির বরাত দিয়ে খবরটি দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, ভারতীয় আইনজীবীরা জানিয়েছেন, হেগ সার্ভিস কনভেশন কর্তৃক জারি করা ওই সমনে ভারতীয় আসামীদের সরাসরি আইনি নথি সরবরাহের অনুমতি নেই। ফলে আদানি এবং তার আইনজীবীদের সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে উপস্থিত হতে হবে। আদানি গ্রুপ ঘুষ কেলেঙ্কারির কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে। অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে সম্ভাব্য সকল আইনি লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। ২৫শে ফেব্রুয়ারির ওই চিঠিতে দেখা যায়, নিজ রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি জেলা আদালতকে সমনটি আদানির কাছে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।
সমনটি সম্ভবত নিউইয়র্কের আদালতে হাজিরা দেয় সংক্রান্ত বলে জানিয়েছেন ভারতীয় আইনজীবী আর্শদীপ খুরানা। তিনি বলেছেন, যদি ভারতীয় আদালতের মাধ্যমে আবেদন করা হয় তাহলে আসামীকে আদালতে হাজির থাকতে হবে। আদানি এবং ভারতের আইন মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে কোনো সাড়া দেয়নি। অন্য এক আইনজীবী মালাক ভাট বলেছেন, সমন জারির অর্থ এই নয় যে আদানির প্রত্যর্পণের ঝুঁকি রয়েছে। এক্ষেত্রে মার্কিন আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেই কেবল প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গৌতম আদানি এবং তার ভাগ্নে সাগর আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করছে এসইসি। এক্ষেত্রে তারা ভারত সরকারের সহায়তা চেয়েছে। আদানির ভাগ্নের বিরুদ্ধে সমন প্রক্রিয়া করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বার্তা সংস্থাটি। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠককালে আদানি ইস্যুতে কোনো আলোচনা হয়নি। উৎস: মানবজমিন।