শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের আইনে কী আছে পুরুষদের ধর্ষণের বিষয়ে? ◈ কূটনীতিকের কানাডায় পালিয়ে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য, যা বললো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা ◈ ছয় মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেন এমবাপ্পে ◈ ইউএনও’র সহযোগিতায় হুইল চেয়ার পেয়ে আবেগে বললো এবার আমি স্কুলে যেতে পারবো  ◈ যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ জন গ্রেফতার ◈ খুরুশকুলের জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম তিন হাজার ডলার প্রতি আউন্স ◈ নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক: ড. আবদুল মঈন খান ◈ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ নাও হতে পারে ব্রাজিলের

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ০৩:১০ দুপুর
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেন ব্যর্থ হলো নরেন্দ্র মোদির ‘সবার আগে প্রতিবেশী’ নীতি 

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেকে আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার পুরোনো খায়েশ আছে ভারতের। কিন্তু দেশটির পররাষ্ট্রনীতির সাম্প্রতিক ব্যর্থতা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি এই আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথকে ক্রমশ জটিল করে তুলেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের টানাপোড়েন ভারতের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাব একসময় নিরঙ্কুশ ছিল। কিন্তু এখন পররাষ্ট্রনীতিতে অবিমৃশ্যকারিতার কারণে দেশটির অবস্থান টালমাটাল। ২০২৩ সালের জুনে ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখণ্ড ভারত’–এর একটি মানচিত্র রাখা হয়েছে, যেখানে আফগানিস্তান থেকে শুরু করে পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং শ্রীলঙ্কাকে এর অংশ দেখানো হয়েছে। এ নিয়ে ওই সময় সব পক্ষ থেকেই আপত্তি জানানো হয়েছে। এটিকে ভারতের আগ্রাসী নীতির নিদর্শন হিসেবেই দেখেছে প্রতিবেশীরা। তথ্যসূত্র: দ্য প্রিন্ট, শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ান ও ইকুয়াল টাইমস।

বিশ্লেষকেরা ভারতের পররাষ্ট্রনীতিকে ‘জবরদস্তিমূলক কূটনীতি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোতে ‘সবার আগে প্রতিবেশী’ নীতি গ্রহণ করলেও দেশটি আদতে এই জবরদস্তিমূলক কূটনৈতিক কৌশলই গ্রহণ করেছে, যা শেষ পর্যন্ত নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এমনকি বাংলাদেশের মতো একসময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্রের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি করেছে।

শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ানে লিখিত এক নিবন্ধে ভারতের সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার রাহুল ভোঁসলে স্বীকার করেন, ভারতের ‘সবার আগে প্রতিবেশী’ নীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোই প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার হওয়ায় এটি ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য, রাজনৈতিক প্রভাব ও নিরাপত্তা কৌশলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

ভারতের ‘নেইবার ফার্স্ট’ বা ‘সবার আগে প্রতিবেশী’ নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে এমন একটি সম্পর্ক তৈরি করা, যেখানে ভারতকে কেন্দ্র হিসেবে ধরা হবে। কিন্তু বাস্তবে এই নীতির অধীনে ভারত তার নিজস্ব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার স্থান সংকুচিত করেছে।

এ ক্ষেত্রে, বাংলাদেশকে একটি উপযুক্ত উদাহরণ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের অন্যতম প্রধান বাজার হিসেবে কাজ করেছে। বিশেষ করে ভোগ্যপণ্য, ওষুধ, কৃষিজ পণ্য এবং প্রযুক্তি বাজারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ভারত একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রেখেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই বাণিজ্য সম্পর্ক দুর্বল হতে শুরু করেছে। দ্বিপক্ষীয় চুক্তির পুনর্বিবেচনা ভারতের মুনাফায়ও টান দিতে পারে।

ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো দেখায় যে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বর্তমান সম্পর্কের উত্তেজনা মূলত রাজনৈতিক। আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের ঘনিষ্ঠ মিত্র থাকলেও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত সেই সুবিধা হারাতে চলেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব আগে ব্যাপক থাকলেও, এখন তা ততটা কার্যকর নয়। নতুন সরকার ভারতের প্রতি কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ হবে তা স্পষ্ট নয়।

তবে, এরই মধ্যেই দেখা যাচ্ছে যে—ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্ক পুনর্গঠনে একধরনের শীতল স্রোত চলছে। ফলে ভারতের ব্যবসায়ী মহলও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের বাজার ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র এবং তাদের জন্য এই বাজার ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের হস্তক্ষেপের ফলে ‘বয়কট ইন্ডিয়া’ বা ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রবণতা প্রবল হয়ে উঠছে।

এ বিষয়ে বেলজিয়ামের থিংক ট্যাংক ট্রাইকন্টিনেন্টাল সেন্টারের গবেষক অরেলিয়ে লিওরি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইকুয়াল টাইমসে লিখিত ‘মোদির হস্তক্ষেপমূলক পররাষ্ট্রনীতি দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব গড়ে তুলছে’ শীর্ষক এক নিবন্ধে বলেন, বিক্ষোভের সময় ‘ভারত হটাও’ স্লোগান (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপমূলক নীতির ব্যর্থতাকে প্রতিফলিত করে।

লিওরি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক কৌশল পরিচালিত হয়েছে “সবার আগে প্রতিবেশী” নীতি এবং দক্ষিণ এশিয়ায় তাঁর দেশকে প্রধান শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টার মাধ্যমে। তবে এসব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এই অঞ্চল শেষ পর্যন্ত চীন-ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মঞ্চে পরিণত হয়েছে।’

বাংলাদেশের জনগণ গত আগস্টে একটি ‘সফল অভ্যুত্থান’ সম্পন্ন করেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক মিত্র আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এখন, সাধারণ জনগণ এমন কোনো রাষ্ট্রকে মেনে নেবে না, যা আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে। আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে ভারত বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের অনুভূতির সঙ্গে জুয়া খেলছে, যা ভারতের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জড়িত না হয়ে ভারত জনমতকে গুরুত্ব দিয়ে এ দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে পারত। এ ধরনের ভুল পদক্ষেপ ভারতের দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভাব হ্রাসের কারণ হয়ে উঠছে।

কেবল বাংলাদেশ নয়, আরেক প্রতিবেশী নেপালের সঙ্গেও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ভারত। দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল নারাভানে দ্য প্রিন্টে লিখিত এক নিবন্ধে স্বীকার করেন, ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কও ভালো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘যেকোনো দুই প্রতিবেশী দেশের মতোই নেপালের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ভারতকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়।’

ভারতকে ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে নারাভানে লেখেন, ‘স্বাধীনচেতা দেশ হিসেবে পরিচিত নেপালের প্রতি নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গি এমন হওয়া প্রয়োজন, যাতে তা হস্তক্ষেপমূলক মনে না হয়, আবার একেবারে “হাত গুটিয়ে নেওয়াও” না হয়। পরের পরিস্থিতিতে অন্য শক্তিগুলোর, বিশেষ করে চীনের অযাচিত প্রভাব বিস্তারের সুযোগ তৈরি হয়। তাই এই সম্পর্ক বজায় রাখতে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রনীতির দুর্বলতার কারণে চীন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে। নেপাল, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে চীন বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্ক দ্রুত প্রসারিত করছে। কারণ, দেশটি ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের’ অধীনে এই রাষ্ট্রগুলোতে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। মালদ্বীপ এরই মধ্যে ভারতীয় সামরিক উপস্থিতি অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা করেছে। নেপালও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ভারত থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চীনের দিকে ঝুঁকেছে। বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ এবং অবকাঠামো সহযোগিতার মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। ফলে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ক্রমশ কৌশলগতভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।

ভারতের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক। মিয়ানমারের সামরিক সরকার ভারতের রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক অবস্থানকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না, কারণ দেশটির কৌশলগত এবং সামরিক সম্পর্ক মূলত চীনের ওপর নির্ভরশীল। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনী মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে, তবে এই সামরিক সহযোগিতা দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি আনতে পারেনি।

এ ছাড়া, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে ভারতবিরোধী মনোভাবের অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে দেশটির প্রতিবেশী সীমান্তে ‘দেখামাত্র গুলির’ নীতি। এই নীতির আলোকে ভারত সীমান্ত এলাকায় প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে, করে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারতের এই কুখ্যাত নীতির শিকার হচ্ছে নিয়মিত। ভারত বেশ কয়েকবার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও প্রতিবারই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।

লিওরির মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ‘দ্বৈত অসমতার’ মুখোমুখি। প্রথমত, দেশটির আকার, জনসংখ্যা, অর্থনীতি এবং পররাষ্ট্রনীতির সমন্বয়ে এটি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বিশাল শক্তি। দ্বিতীয়ত, চীন ও ভারতের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা। অর্থনীতি, শিল্প, প্রযুক্তি, কূটনীতি, সামরিক সক্ষমতা, মানব উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে বেইজিং দিল্লিকে ছাড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি, ভারতের আমদানির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ চীনের ওপর নির্ভরশীল।

এই প্রেক্ষাপটে চীনের প্রসার, বিশেষ করে ভারতের ঐতিহাসিক প্রভাব বলয় হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ এশিয়ায় অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে এবং ভারত মহাসাগর সংলগ্ন দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত জোট গঠন, নয়াদিল্লির কাছে তার আঞ্চলিক প্রাধান্যের প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

লিওরি বলছেন, ‘তৃতীয় দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পর, নরেন্দ্র মোদি এক বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। দক্ষিণ এশিয়ায় তাঁর “কূটনৈতিক বিপর্যয়” কাটিয়ে উঠতে হলে, নয়াদিল্লিকে দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কেবল চীনকে ঠেকানোর এবং নিজের আধিপত্যবাদী স্বার্থ হাসিলের মোহ থেকে বেরিয়ে এসে, সমন্বিত উন্নয়নের দিকেই নজর দিতে হবে, যেখানে প্রতিবেশী দেশগুলোর স্বার্থ ও চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।’

দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতি দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। ভারত যদি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে টিকে থাকতে চায়, তবে তাকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের কৌশল ভাবতে হবে। শুধু রাজনৈতিক লাভের জন্য সম্পর্ক তৈরি করা দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই নয়—যেমনটি ভারতের বৈদেশিক নীতির বর্তমান অবস্থা প্রমাণ করে। ভারত যদি সত্যিই আঞ্চলিক শক্তি হতে চায়, তবে এখনই তার প্রতিবেশীদের আস্থা পুনরুদ্ধার করতে হবে। অন্যথায়, চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে ভারতকে ভবিষ্যতে আরও বড় কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।  উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়