সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সুযোগ নিয়ে ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন।
সিরিয়ার বর্তমান ঘটনাবলীর প্রতিক্রিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ বলেছেন, "জোলানি সরকারি পোশাক পরে নিজেকে একজন মধ্যপন্থী হিসেবে তুলে ধরেছিলেন কিন্তু এখন তার মুখ থেকে মুখোশটি পড়ে গেছে।" স্পুটনিকের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে যে, সিরিয়ায় শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পর থেকে ইহুদিবাদী শাসক গোষ্ঠী দখলদারিত্বের সম্প্রসারণকে ন্যায্যতা দিয়ে কাটজ দাবি করেছেন, "সিরিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে ইসরাইল নিজেদের রক্ষা করছে এবং আমাদের বাহিনী হারমন হাইটসসহ সিরিয়ার এলাকায় থাকবে এবং গোলান হাইটস এবং গ্যালিলিকে রক্ষা করবে।"
অন্যদিকে,ইসরাইলি সেনাবাহিনীর নতুন চিফ অব স্টাফ ইয়াল জামির যুদ্ধের মতো বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছেন, "এই বছরটি হবে যুদ্ধের বছর, গাজা এবং ইরানকে কেন্দ্র করে।"
এছাড়াও গাজা ইস্যুতে ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা' গাজায় আরো তীব্র অবরোধ এবং মানবিক সাহায্য বন্ধের ফলে গাজা উপত্যকায় আরেকটি দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি সম্পর্কে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সতর্কতা প্রত্যাখ্যান করেছেন। শনিবার সা'র দাবি করেছেন যে এই সতর্কবার্তাগুলো কেবল মিথ্যা বলে তিনি মনে করেন এবং দাবি করেছেন যে ইসরাইল সরকারের মানবিক সাহায্য পাঠানোর কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
আমেরিকার গতিবিধি এবং ওয়াশিংটনের আচরণ আরেকটি বিষয় যা অধিকৃত অঞ্চলগুলোর মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইহুদিবাদী সরকারের সম্পর্কের প্রকৃতি নিয়ে বিরোধী এবং সমর্থকদের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্বের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে, ইসরাইলি সরকারের বিরোধী দলের প্রধান ইয়ার ল্যাপিড বলেছেন যে ইসরাইলি সরকারের দুর্বলতার কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হামাসের সঙ্গে আলোচনা করছে। কারণ তারা তাদের নাগরিকদের জীবন নিয়ে উদ্বিগ্ন।