শিরোনাম
◈ ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ (ভিডিও) ◈ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ, ফিরতি ২৪ মার্চ ◈ যেই অপরাধী হোক তাকে আমরা ওখানেই গ্রেপ্তার করবো: তথ্য উপদেষ্টা ◈ সোমবার নতুন দল নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে ইসি ◈ ছাত্রদলের প্রশংসা করে যা বললেন শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ◈ টাকার জন্য খেলে পাকিস্তান, শিরোপার জন্য খেলে ভারত: মোহাম্মদ হাফিজ ◈ নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে উত্তাল দেশ, দ্রুত বিচার দাবি ◈ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৫  ◈ বাংলাদেশের নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ◈ ‘মনে হচ্ছে বিশ্ব আমাদের না খেয়ে মারতে চাইছে’, রোহিঙ্গাদের আঁকুতি

প্রকাশিত : ০৭ মার্চ, ২০২৫, ১২:১৮ দুপুর
আপডেট : ০৯ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্পের স্বপ্ন, যুক্তরাষ্ট্র হবে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানী

ক্রিপ্টোকারেন্সির রিজার্ভ তৈরির নির্বাহী আদেশে ট্রাম্পের স্বাক্ষর

ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের কৌশলগত রিজার্ভ গড়ে তুলতে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পের নির্বাহীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। এ সাক্ষাতের এক দিন আগেই গতকাল বৃহস্পতিবার ওই আদেশে সই করেন তিনি।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তাঁরা এমন ‘বাজেট–নিরপেক্ষ কৌশল’ প্রণয়ন করবেন, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত বিটকয়েন সংগ্রহ করা সম্ভব হবে, কিন্তু এর জন্য করদাতাদের ওপর কোনো অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা চাপবে না।

এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে হোয়াইট হাউসের ক্রিপ্টো বিষয়ক প্রধান বিলিয়নিয়ার ডেভিড স্যাক্স জানান, ফেডারেল সরকারের এই রিজার্ভ গড়ে তোলা হবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জরিমানা থেকে প্রাপ্ত অর্থ। সেই সঙ্গে দেওয়ানি মামলায় বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তিও সরকার বিটকয়েনে রূপান্তর করবে।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ট্রাম্প পাঁচটি ডিজিটাল টোকেনের নাম ঘোষণা করেন—বিটকয়েন, ইথেরিয়াম (ইথার), এক্সআরপি, সোলানা ও কার্ডানো। তিনি বলেন, রিজার্ভে এই টোকেনগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে চান তিনি। এই ঘোষণার পর প্রতিটি টোকেনের দাম বেড়ে গেছে।

আজ শুক্রবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠেয় ক্রিপ্টো সম্মেলনে আমন্ত্রিতরা আশা করছেন, এই ইভেন্টে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর পরিকল্পনার ঘোষণা দেবেন, যেখানে তিনি কৌশলগত রিজার্ভে বিটকয়েনসহ আরও চারটি ক্রিপ্টোকারেন্সি অন্তর্ভুক্ত করবেন।

তবে এই রিজার্ভ কীভাবে পরিচালিত হবে বা এর মাধ্যমে করদাতারা কীভাবে উপকৃত হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। হোয়াইট হাউসের ক্রিপ্টো বিষয়ক প্রধান স্যাক্স জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই রিজার্ভের বাজারমূল্য সর্বাধিক করতে একটি কৌশল প্রণয়ন করবে। তবে কী ধরনের কৌশল সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।

স্যাক্স বলেন, ‘এই রিজার্ভ থেকে কোনো বিটকয়েন বিক্রি করবে না যুক্তরাষ্ট্র। এটি একটি মূল্য সংরক্ষণের মাধ্যম হিসেবে রাখা হবে। এই রিজার্ভটি হবে ক্রিপ্টোকারেন্সির জন্য একটি ডিজিটাল ফোর্ট নক্সের মতো, যা ডিজিটাল সোনা হিসেবে পরিচিত।’

স্যাক্সের পোস্টের পর বিটকয়েনের মূল্য সাময়িকভাবে ৫ শতাংশের বেশি কমে ৮৫ হাজার ডলারের নিচে নেমে যায় এবং সর্বশেষ কয়েনটি ৮৮ হাজার ১০৭ ডলার মূল্যে লেনদেন হয়।

ক্যাপ্রিয়ল ইনভেস্টমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও বিটকয়েনকেন্দ্রিক হেজ ফান্ড ম্যানেজার চার্লস এডওয়ার্ডস এক এক্স পোস্টে লেখেন, ‘এটি আমাদের প্রত্যাশার মধ্যে সবচেয়ে হতাশাজনক ফলাফল। কোনো সক্রিয় কেনাকাটা না থাকার অর্থ, এটি আগে থেকেই সরকারের বিটকয়েন ধরে রাখার একটি আড়ম্বরপূর্ণ শিরোনাম মাত্র। এটি মূলত বাহ্যিক চাকচিক্য ছাড়া কিছুই নয়।’

স্যাক্সের অনুমান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে প্রায় ২ লাখ বিটকয়েন আছে এবং এই ক্রিপ্টোকারেন্সি আগেভাগে বিক্রি করায় আমেরিকান করদাতাদের ১৭ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। তবে স্যাক্স কীভাবে এই হিসাব করেছেন, তা স্পষ্ট নয়।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্রিপ্টো শিল্পকে সমর্থন করায় স্বার্থের সংঘাতের শঙ্কা নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ট্রাম্পের পরিবার ক্রিপ্টো মিম কয়েন চালু করেছে এবং তাঁর নিজেরও ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল নামে একটি ক্রিপ্টো প্ল্যাটফর্মে অংশীদারত্ব রয়েছে। তবে ট্রাম্পের সহযোগীরা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ব্যবসায়িক কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেছেন এবং এগুলো বাইরের বিশেষজ্ঞরা দেখছেন।

ক্রিপ্টো শিল্পকে সমর্থনের কারণেই গত নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প ও রিপাবলিকানদের সমর্থনে মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে ক্রিপ্টো সংশ্লিষ্টরা। তবে এখন ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত রক্ষণশীল ও ক্রিপ্টো সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। তাঁরা মনে করছেন, এটি এরই মধ্যে ধনী সম্প্রদায়ের জন্য একটি অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে আসছে এবং ডিজিটাল মুদ্রা শিল্পকে অবমূল্যায়িত করতে পারে। অন্যদিকে, সমর্থকেরা যুক্তি দেন, এই রিজার্ভ তৈরি হলে করদাতারা ক্রিপ্টোর মূল্য বাড়ার সুফল পেতে পারেন। সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়