যুক্তরাষ্ট্র সরে আসার পর ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তার নিজেদের জন্য আলাদা প্রতিরক্ষা বাহিনীর কথাও ভাবছে।তবে ইউরোপের দুই দেশ ইউক্রেনকে সাহায্য করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়া ইঙ্গিত দিয়েছে, ইউক্রেনকে সাহায্য করা নিয়ে তাদের আপত্তি আছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবদেন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো এই বিষয়টি উল্লেখ করে একটি চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, স্লোভাকিয়া এই পরিকল্পনা ব্লক করবে না, কিন্তু তারা কোনো অর্থ দিতে পারবে না। তিনি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ প্রতিষ্ঠার যে নীতি, তা ‘বাস্তবসম্মত’ নয়।
এই পরিকল্পনা নিয়ে সুইডেনের দ্বিধা ছিল। তবে সুইডিশ ডিফেন্স রিসার্চ এজেন্সির গবেষক ক্যালে হ্যাকানসন বলেছেন, কয়েকদিন ধরে সুইডেনের মনোভাবে একটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পর তাদের মনোভাবে পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
হ্যাকানসন বলেছেন, সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টেরসন বলেছেন, তিনি উরসুলার পরিকল্পনা সমর্থন করেন।ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও জার্মানিরও দ্বিধা ছিল, কিন্তু তারা তাদের অবস্থান বদল করেছে।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে লেখা এক চিঠিতে দাবি করেছেন, সম্মেলনে কোনও নথিতে লিখিতভাবে ইউক্রেনের নাম না থাকাই উচিত