ট্রাম্পের ‘দেশ পরিচালনা এবং নীতি’ সম্পর্কে মার্কিন ভোটদাতাদের মতামত নিয়েছিল সিএনএন। তার ফল বলছে, ৫২ শতাংশ নাগরিক প্রেসিডেন্টের কাজের পদ্ধতি সমর্থন করছেন না।
মার্কিন নাগরিকদের স্বার্থরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলে চার মাস আগে বিপুল সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ স্লোগানে ভর করে জয়ী হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। কিন্তু হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় বার প্রবেশ করার দেড় মাসের মধ্যে প্রবীণ রিপাবলিকান নেতার জয়প্রিয়তায় ভাটার টান লেগেছে বলে সে দেশের সাংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর একটি সমীক্ষা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। ফেব্রুয়ারির শেষ পর্বে তাঁর ‘দেশ পরিচালনা এবং নীতি’ সম্পর্কে মার্কিন ভোটদাতাদের মতামত নিয়েছিল সিএনএন। তার ফল বলছে, ৫২ শতাংশ নাগরিক ট্রাম্পের কাজের পদ্ধতি সমর্থন করছেন না। আমেরিকার ৪৮ শতাংশ ভোটদাতা অবশ্য ট্রাম্পের বিভিন্ন পদক্ষেপ সমর্থন করেছেন।
দলগত হিসেব বলছে ৯০ শতাংশ রিপাবলিকান ভোটার ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে সহমত। অন্য দিকে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কার্যকলাপের বিরোধী ৯০ শতাংশ ডেমোক্র্যাট ভোটার। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ‘নিরপেক্ষ’ ভোটদাতাদের ৫৯ শতাংশ ‘দেশ পরিচালনা এবং নীতি’র বিরোধী। ৪১ শতাংশ এখনও প্রেসিডেন্টের প্রতি আস্থাশীল। শুল্কনীতি, অভিবাসন নীতি, গাজ়ার সংঘাত থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হোয়াইট হাউসের পদক্ষেপ সম্পর্কে আম ভোটারদের নানা সংশয়ের কথা স্পষ্ট ওই রিপোর্টে।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, এর ফলে এখনই ট্রাম্প কোনও চাপের মুখে পড়বেন না। মধ্যবর্তী নির্বাচনেও রিপাবলিকনদের রাতারাতি খারাপ ফল করার সম্ভাবনা কম। কারণ, ভাবমূর্তি এমনই একটা জিনিস, যা সমীক্ষার মানদণ্ডে সব সময় মাপা সম্ভব হয় না। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পর্নতারকাকে ঘুষের মামলায় বিচারবিভাগ উত্তরোত্তর তৎপর হয়ে ওঠায় ট্রাম্পের ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ণ হয়েছিল। কিন্তু ভোটে জিততে তাঁর কোনও অসুবিধা হয়নি।