পার্সটুডে - ব্রিটেনের দৈনিক "দ্য অবজারভার" এক নিবন্ধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্ট যে আচরণ করেছেন তার সমালোচনা করে একে নিষ্ঠুর, বেপরোয়া এবং প্রতারণামূলক বলে বর্ণনা করেছে।
ব্রিটেনের দৈনিক "দ্য অবজারভার" লিখেছে, শুক্রবার হোয়াইট হাউসে তাদের বৈঠকের সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্টের আচরণ সাম্প্রতিক দশকগুলোতে মার্কিন কূটনীতির সবচেয়ে নিকৃষ্টতম মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম। ইসনার উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, এই নিবন্ধটিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাম্প এবং তার ভাইস প্রেসিডেন্টের এই আচরণ ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছে।
অবজারভারের এই প্রতিবেদনে ইউরোপীয়দের ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থান এবং কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, "প্রথম শিক্ষাটি হল ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্য, গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে গণ্য করা যাবে না।"
এই নিবন্ধে আরো এসেছে ন্যাটো এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের আর কোনো নিশ্চয়তা নেই। রাশিয়াকে সাহায্য করার মাধ্যমে যারা ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের বাইরে ব্রিটেনসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তাদের সাথে মিলে ট্রাম্প আজ ইউরোপের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকিতে পরিণত হয়েছেন।
অবজারভার আরও বলেছে, "এই সবকিছুর অর্থ হল ইউরোপীয় রাজধানীগুলোকে শুধু যে কেবল সামরিক বাজেটের ক্ষেত্রেই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাই নয় একই সাথে জনগণকে এ বার্তা দিতে হবে যে, আমেরিকান সমর্থন ছাড়াই রাশিয়ার সাথে বৃহত্তর সংঘাত এখ আর কল্পনাতীত নয়।"
অবজারভারের প্রবন্ধটি এই বলে শেষ হয়েছে যে: "ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড একজন আত্মকেন্দ্রিক এবং অনিরাপদ ব্যক্তির নিদর্শন।" তবে আমরা যদি হতাশ না হই তাহলে ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি।"
পার্সটুডে জানিয়েছে তিন বছর আগে, ইউক্রেনীয় যুদ্ধের প্রথম দিনগুলোতে, ইসলামী বিপ্লবের বর্তমান সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেনি একটি চমৎকার বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই সংকটের মূল কারণগুলো তুলে ধরেছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে আমেরিকাই ইউক্রেন সংকট তৈরি করেছে। তিনি ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ, মখমল অভ্যুত্থানের প্রতি সমর্থন এবং রঙিন আন্দোলনকে এই সংকটের প্রধান কারণ বলে চিহ্নিত করেন। ইমাম খামেনেয়ি আরও বলেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো এমন একটি সরকারকে সমর্থন জানায় যেটিকে তারা মরীচিকা হিসেবে ক্ষমতায় বসিয়েছিল।