ইউক্রেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত চুক্তি করতে রাজি না হয়, তাহলে দেশটিতে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে—এমন খবর প্রকাশ করেছিল বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে খোদ ইলন মাস্ক রয়টার্সের এই সংবাদকে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাস্ক তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পোস্ট করে লিখেছেন—"এটি মিথ্যা। রয়টার্স মিথ্যা বলছে।" তিনি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে ‘অ্যাসোসিয়েটেড প্রোপাগান্ডা’ বলে কটাক্ষ করে বলেছেন, "তারা এপি-এর পরেই অবস্থান করছে—পুরোনো ঘরানার মিথ্যাবাদী সংবাদমাধ্যম।"
এর আগে, রয়টার্সের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়—যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের ওপর অধিকার পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ প্রসঙ্গে আলোচনার সময় মার্কিন কর্মকর্তারা স্পেসএক্স মালিকানাধীন স্টারলিংক পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মার্কিন অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে স্টারলিংকের ইন্টারনেট অ্যাকসেসের বিষয়টি আলোচনায় আসে। স্টারলিংক যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ করে।
২০২২ সালে রাশিয়ার হামলার পর মাস্ক হাজার হাজার স্টারলিংক টার্মিনাল পাঠিয়ে ইউক্রেনের ধ্বংস হওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করেছিলেন। তবে ২০২২ সালের শেষ দিকে তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিচালনা কৌশল নিয়ে সমালোচনা করেন এবং স্টারলিংকের পরিষেবা সীমিত করেন।
সম্প্রতি, ইউক্রেন সরকার তাদের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের ওপর বিদেশি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। মার্কিন কর্মকর্তারা এতে আগ্রহ দেখালেও, জেলেনস্কি ওয়াশিংটনের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের লিথিয়াম, টাইটানিয়াম, ইউরেনিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদের ৫০% মালিকানা চায়।
এরপর থেকেই জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প সম্প্রতি জেলেনস্কিকে ‘অনির্বাচিত একনায়ক’ বলে আখ্যা দেন। অন্যদিকে, জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্প রাশিয়ার বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার ফাঁদে পড়েছেন।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
আপনার মতামত লিখুন :