শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে না দেখে: ভারত ◈ ১৮’র ভোটের এসপিদেরও ওএসডি-বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ◈ মধ্যরাতে ব্যাংকের ভেতরেই অবস্থান কর্মকর্তার, যা জানা গেল ◈ ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫ বাংলাদেশি ◈ ফলক থেকে নাম মুছে দিয়েই ভাষা আন্দোলনে গোলাম আযমের অবদান মুছে ফেলা যাবে না : জামায়াত  ◈ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি শিক্ষা বোর্ডের ১৪ নির্দেশনা ◈ মাতৃভাষার গুরুত্ব না বুঝলে এসডিজি অর্জিত হবে না : প্রধান উপদেষ্টা ◈ অতিরিক্ত সচিব তপন কুমারকে বাধ্যতামূলক অবসর ◈ বাংলাদেশের হারের জন্য ব্যাটিং-ফিল্ডিং ইউনিটকে দায়ী করলেন শেবাগ ও মাঞ্জারেকার ◈ ব্যাটিং ব্যর্থতায় আমরা ভারতের কাছে হেরে গেছি: অধিনায়ক শান্ত

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:২০ রাত
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রহস্যময় বিকট শব্দ শোনা গেল ভূমিকম্পের সময়, যা বলছে বিজ্ঞান

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠে নয়াদিল্লি, যার কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের রাজধানীলাগোয়া বেশ কয়েকটি এলাকাতেও। জাতীয় ভূতাত্ত্বিক সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে উৎপত্তি হয়েছিল।

যদিও এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের সময় কয়েক সেকেন্ডের জন্য বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।ভূমিকম্পের সময় বিকট শব্দ কেন শোনা যায়: ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল অগভীর হলে সাধারণত এই ধরনের বিকট শব্দ তৈরি হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, যখন উচ্চ-কম্পাঙ্কে ভূমিকম্প কম গভীরতায় ঘটে, তখন এটি ভূ-পৃষ্ঠকে তীব্রভাবে প্রকম্পিত করে। এসময় স্বল্প-মেয়াদি সিসমিক তরঙ্গ তৈরি হয়, যা বাতাসে প্রবাহিত হয়ে শব্দ তরঙ্গে পরিণত হয়। খবর এনডিটিভির। 

যত কম গভীরতায় ভূমিকম্প হয়, তত বেশি শক্তি ও শব্দ উৎপন্ন হয়ে থাকে। অনেক সময় ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত না হলেও প্রচণ্ড শব্দ শোনা যেতে পারে। সাধারণত ৫-১০ কিলোমিটার গভীরতায় উৎপন্ন ভূমিকম্পগুলো বেশি বিধ্বংসী হয়ে উঠে, কারণ এগুলো শক্তিশালী কম্পন তৈরি করে।

সোমবারের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নয়াদিল্লির ধৌলা কুয়ান এলাকা। সেখানে প্রতি দুই-তিন বছরে একবার ছোটখাট ভূমিকম্প হয়। ২০১৫ সালে ৩ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পও সেখানে রেকর্ড করা হয়েছিল।

ভূমিকম্পের সময় দিল্লিবাসীর ভীতিকর অভিজ্ঞতা: ভোরবেলায় হওয়া ভূমিকম্পে চরম আতঙ্ক নিয়ে ঘুম ভেঙে যায় দিল্লিবাসীর। অনেকেই এটিকে 'সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প' বলে বর্ণনা করেছেন।

নয়াদিল্লির এক বাড়ির ছাদে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভূমিকম্পের মুহূর্ত। ভিডিওতে দেখা যায়, পাইপ ও বিদ্যুতের তার প্রচণ্ডভাবে দুলছে।
 
রেলস্টেশনে অপেক্ষমাণ এক যাত্রী বলেন,'আমি ওয়েটিং লাউঞ্জে ছিলাম, সবাই দৌড়ে বাইরে চলে গেল। মনে হচ্ছিল যেন কোনো সেতু ধসে পড়েছে!' আরেকজন জানান, কম্পন এতটাই তীব্র ছিল যে মনে হচ্ছিল আশপাশ দিয়ে কোনো ট্রেন দ্রুতগতিতে ছুটে যাচ্ছে! পুরো বিল্ডিং কাঁপছিল, জীবনে কখনো এমন আতঙ্ক অনুভব করিনি।' অনুবাদ: চ্যানেল২৪
 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়